কাঠমাণ্ডু, 4 জুলাই: দুদিনের রাজনৈতিক নাটকের পর সরকার পড়ল নেপালে। প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ডর সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল শরিকরা। আর তার জেরে সরকার পড়ল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দেশে। তবে পরিস্থিতি যে এরকম হতে চলেছে তার আগাম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।
একদিন আগেই প্রচণ্ডকে ইস্তফা দিতো বলেছিল নেপালের কমিউনিস্ট দল। তাদের মনে হয়েছিল সরকার পড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী যদি নিজেই ইস্তফা দেন তাহলে তা হবে সম্মানজনক বিদায়। কিন্তু সে পথে হাটের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা করেন । যদিও তা সফল হল না । পড়ে গেল সরকার ।
গত কয়েকদিন ধরে নেপালের রাজনৈতিক সংকট চলছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সংকট কাটাতে আগেই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য পুষ্প কুমার দহল বা প্রচণ্ড-র কাছে আবেদন করে নেপালি কংগ্রেস ৷ তাদের মনে হয়েছিল নতুন সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রচণ্ডর প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত ৷ কিন্তু এক্ষেত্রেও পদত্যাগে আগ্রহ দেখাননি প্রধানমন্ত্রী । নেপালি কংগ্রেসের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, এই জোটের মেয়াদ শেষ। অন্য দলগুলি সরকারকে সমর্থন দিতে তৈরি । তার জেরে প্রধানমন্ত্রীর উচিত পদ ছেড়ে দেওয়া ।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি সরকারের বড় শরিক। একদিন আগেই বৈঠকে বসে নেপাল ক্যাবিনেট। এখানে ইস্তফা দেন কমিউনিস্ট পার্টির 8 মন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে পদ ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। নেপালের রাজনীতিতে নতুন সরকার গঠন নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে যায়। ঠিক হয় আগামী দেড় বছর সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কেপি শর্মা ওলি। তারপর দায়িত্বে আসবেন আরও এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। এমনই নানা চর্চার মাঝে সরকার পড়ল নেপালে