প্যারিস, 6 ডিসেম্বর: পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার ৷ তবে মেয়াদ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের পদেই থাকবেন ৷ দেশের রাজনীতিতে চরম বিশৃঙ্খলার আবহে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ৷ সেই সঙ্গে তিনি জানান, শীঘ্রই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন তিনি ৷
বুধবার আইনসভার অতি-ডানপন্থী এবং বামপন্থী সদস্যরা একযোগে ঐতিহাসিক অনাস্থা ভোটে অংশ নেন ৷ এর জেরে প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ৷ 1962 সালের পর ফ্রান্সের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ সেই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে থাকে, তবে কী বিরোধীদের চাপে পদত্যাগ করবেন ম্যাক্রোঁ ? বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্নের জবাবে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ৷
Je refuse que les Français paient la facture de cette censure. Nous ne pouvons nous permettre ni les divisions ni l’immobilisme. pic.twitter.com/MqZRi5SsNv
— Emmanuel Macron (@EmmanuelMacron) December 5, 2024
ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট জানান, পদত্যাগের জন্য তাঁর উপর বিরোধীদের কোনও চাপ নেই ৷ সুতরাং, মেয়াদ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তিনি নিজের দায়িত্ব সামলে যাবেন ৷ তিনি বলেন, "খুব শীঘ্রই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করব ৷ যদিও নতুন সরকার গঠন না-হওয়া পর্যন্ত সমস্ত সরকারি কাজকর্ম বার্নিয়ার এবং তাঁর মন্ত্রীরাই সামলাবেন ৷ নতুন প্রধানমন্ত্রী দেশের পরবর্তী বাজেট পাশ করবেন ৷"
বুধবার সংসদে বার্নিয়ারের প্রস্তাবিত বাজেটের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনাস্থা ভোট করা হয় ৷ বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় অতি-ডানপন্থী এবং বামপন্থীদের তীব্র কটাক্ষ করেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ৷ পাশাপাশি, দেশের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, "আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বড়দিনের ছুটি শুরু হবে ৷ বিষয়টি জেনেই এই সরকারের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷" উল্লেখ্য, চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার নয়া প্রধানমন্ত্রী বাছাই করতে চলেছেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ৷
এদিন, দেশবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ৷ আগামী শনিবার ফ্রান্স সফরে আসছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ 2019 সালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় নট্রেডম ক্যাথিড্রাল ৷ পাঁচ বছরের গির্জাটির মেরামতির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ৷ শনিবার সেই গির্জায় আসছেন ট্রাম্প ৷ সুতরাং, তার আগে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বদ্ধপরিকর ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ৷