কাবুল, 12 মে: ভারী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি আফগানিস্তানে ৷ এখনও পর্যন্ত বন্যায় 300 জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ এমনটাই শনিবার রাষ্ট্রসংঘের ফুড এজেন্সি জানিয়েছে । বন্যা বেশিরভাগই দেশের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে । বাঘলান প্রদেশ শুক্রবার বন্যার কবলে পড়ে এবং একাধিক জেলায় অন্তত 50 জনের প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস হওয়ার কথা তালিবান সরকারের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে ।
প্রতিবেশী তাখার প্রদেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিডিয়া আউটলেট জানিয়েছে, বন্যায় কমপক্ষে 20 জনের মৃত্যু হয়েছে । তালিবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করেছেন, "শতাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই বিপর্যয় ৷ বন্যায় আহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ।" মুজাহিদ জানিয়েছেন, বাদাখশান, বাঘলান, ঘোর এবং হেরাত প্রদেশগুলিকে সবচেয়ে বেশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । প্রকৃতির এই ধ্বংসযজ্ঞে উল্লেখযোগ্যভাবে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে । তিনি বলেন, "সরকার বন্যা কবলিত এলাকা থেকে আটকে পড়া মানুষের উদ্ধার করার কাজ চালাচ্ছে ৷ পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং মৃতদের দেহগুলি উদ্ধার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।"
তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের বায়ুসেনা ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত বাঘলান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে এবং বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করেছে ৷ এর মধ্যে 100 জন আহত ব্যক্তিকে এই অঞ্চলের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেট এক্সে বলেছেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা পরিস্থিতি থেকে আফগানিস্তানের সর্তক হওয়া প্রয়োজন ৷ বর্তমানে তালিবান সরকারের তরফে মানুষকে সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা উভয়ই প্রয়োজন । যাতে ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীণ না হতে হয় ৷"
সোশাল মিডিয়ায় আফগানিস্তানের বন্যার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে, শনিবার বহু লোক বাঘলানের হাসপাতালের পিছনে জড়ো হয়ে তাঁদের প্রিয়জনকে খুঁজছেন । এপ্রিলে আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে 70 জনের মৃত্যু হয়েছিল । প্রায় 2 হাজার ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ এবং চারটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ।
আরও পড়ুন: