এথেন্স, 18 ফেব্রুয়ারি: নবজাগরণের যে দেশ একসময় আলোকিত করে গোটা বিশ্বকে। এবার একবিংশ শতাব্দীতে আরেক বিপ্লবে সামিল ভূমধ্যসাগরের তীরের ছোট্ট দেশ গ্রিস ! সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিল সক্রেটিসের দেশ ৷ বিশ্বে এই প্রথম কোনও অর্থোডক্স খ্রিস্টান অধ্যুষিত দেশ সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতি জানাল ৷ তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছে প্রভাবশালী, সামাজিকভাবে রক্ষণশীল গ্রিক চার্চ ৷
তবে শেষ পর্যন্ত এই বিরোধিতা ধোপে টেকেনি ৷ 15 ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক সমলিঙ্গ বিবাহ বিল পাশ হয়েছে গ্রিসের সংসদে ৷ গ্রিসের সংসদে 300 জন সদস্যের মধ্য়ে 176 জন সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতার পক্ষে ভোট দেয় ৷ 76 জন এই বিলকে খারিজ করে দিয়েছেন, আর 2 জন ভোট দানে বিরত থেকেছেন ৷ আর বাকি 46 জন হাউজের ভোটাভুটিতে উপস্থিত ছিলেন না ৷ এই ঐতিহাসিক বিল পাশের পর গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে লেখেন, "ইউরোপিয় ইউনিয়নের 16তম দেশ হিসেবে গ্রিসে সমলিঙ্গ বিবাহে বৈধ হল ৷"
অগণিত মানুষ বিশেষত এলজিবিটিকিউ+ গোষ্ঠীর মানুষেরা সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত শোনার অপেক্ষায় ছিলেন ৷ গ্রিসের সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করেছে প্রাচীন চার্চ ৷ অবশ্য এই চার্চ পুরুষ-নারীর বিবাহেরও বিরুদ্ধে ৷ চার্চের মতে, সমলিঙ্গ বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেলে তাতে পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হবে ৷ সমলিঙ্গ যুগলরা সারোগেসির মাধ্যমে পিতৃত্বের অধিকার নিয়ে দাবি তুলবে ৷ এতে আইনি জটিলতা তৈরি হবে ৷ তাই বৃহস্পতিবার একদিকে গ্রিসের রাস্তা রামধনু পতাকা উড়ছে, অন্যদিকে চার্চ সমর্থক ও রক্ষণশীল প্রতিষ্ঠানগুলিও প্রতিবাদ মিছিল বের করে ৷
আরও পড়ুন: