ইসলামাবাদ, 12 ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তানে জোট সরকার গড়তে উদ্যোগী প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন ৷ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তাই পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ-এর নেতারা আলোচনায় বসলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং মুত্তাহিদা কাউমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) নেতাদের সঙ্গে ৷ পাকিস্তানের প্রথমসারির দৈনিক সূত্রে এমন খবরই সামনে এসেছে ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদ নিজেদের হাতে রেখে প্রেসিডেন্ট এবং অধ্যক্ষ পদ জোটের শরিকদের হাতে ছাড়তে রাজি হয়েছে পিএমএল-এন ৷ একইসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার পদটিও এমকিউএম-পি অথবা জোটে শরিক হওয়া নির্দল কোনও সদস্যকে দিতে প্রস্তুত পিএমএল-এন ৷
সিনিয়র পিএমএল-এন নেতা লাহোরের জাতি উমরাতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একটি বৈঠকের পরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের দলের পরবর্তী কাজকর্ম নিয়ে আভাস দিয়েছেন ৷ প্রাক্তন মন্ত্রী এও বলেছেন যে পিএমএল-এনের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনের জন্য তার প্রাক্তন সঙ্গীদের পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে। তিনি বলেন, "এটি একটি অংশগ্রহণমূলক জোট সরকার হবে ৷"
প্রথমসারির দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, জোট দলগুলো যদি পিএমএল-এনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ দিতে রাজি হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ও স্পিকার পদটি পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) দেওয়া হবে। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের তিনদিন পর ফলাফলে সবচেয়ে বেশি আসন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে । 264টি আসনের মধ্যে পেয়েছেন 101টি আসন।
এদের মধ্যে 93 জনই ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী। নওয়াজ শরিফের দল জয় পেয়েছে 75টি আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপলস পার্টি 54টি আসনে জয়লাভ করেছে ৷ অন্যান্যরা পেয়েছে 34টি আসন। সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার 134। ফলত সরকার গঠনের জনেয ইতিমধ্যেই পিএমএল-এন এবং পিপলস পার্টি নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। তবে সংখ্যারগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাদের অন্তত আরও পাঁচজন স্বতন্ত্র সাংসদ সদস্য অথবা অন্তত পাঁচজন নির্বাচিত এমপি রয়েছে, এমন দলের সমর্থন দরকার হবে।
আরও পড়ুন: