ETV Bharat / international

লাদাখ নিয়ে চিনকে বার্তা ভারতের, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা মেনে চলার সিদ্ধান্ত দু'দেশের - Jaishankar leads India at SCO

EAM S Jaishankar leads India at SCO Summit: লাদাখ নিয়ে চিনকে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহল করল ভারত ৷ পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার সঙ্গেই এলএসি মেনে চলার ক্ষেত্রেও চিনকে বলা হয়েছে, বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর ৷

Jaishankar on Ladakh row
লাদাখ সমস্যা নিয়ে চিনকে বার্তা ভারতের (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Jul 4, 2024, 6:42 PM IST

আস্তানা, 4 জুলাই: পূর্ব লাদাখের বাকি সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ ভারত ও চিন বৃহস্পতিবার বৈঠকে সম্পর্ককে স্থিতিশীল এবং নতুন করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও খবর ৷ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে স্পষ্টতই জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) দু'দেশকেই মেনে চলতে হবে।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায়, সীমান্ত রক্ষায় অতীতে দু'পক্ষের মধ্যে ওঠা প্রাসঙ্গিক দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি এবং প্রোটোকলগুলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। এক বিবৃতিতে, বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, জয়শঙ্কর ও ওয়াং পূর্ব লাদাখে এলএসি সমস্যা সমাধানে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ৷ বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী ভারতের অবিচল দৃষ্টিভঙ্গিও নিশ্চিত করেছেন ৷ সেই সঙ্গে, দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর ৷

জয়শঙ্কর এক্সে লিখেছেন, "আস্তানায় সিপিসি পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে ৷" তিনি আরও জানিয়েছেন, "এলএসি-কে সম্মান করা এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ-আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে ৷" ভারত বরাবরই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না-থাকলে চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, "দুই মন্ত্রী উভয় পক্ষের কূটনৈতিক এবং সামরিক আধিকারিকদের বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের (ডব্লিউএমসিসি) একটি প্রাথমিক বৈঠক করা উচিত বলেও তারা সম্মত হয়েছে ৷"

বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা দুই দেশের জন্যই ভালো নয়। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার পথে বাধাগুলি দূর করা এবং সীমান্তে শান্তি পুনরুদ্ধার করার জন্যও সওয়াল করেছেন ৷ ভারতীয় ও চিনা সামরিক বাহিনী 2020 সালের মে থেকে একটি অচলাবস্থায় আটকে রয়েছে ৷ 2020 সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ৷ দুই পক্ষই এই বিরোধের সমাধানের লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারিতে উচ্চপর্যায়ের সামরিক আলোচনার শেষ দফায় বসেছিল। যদিও 21তম রাউন্ডের আলোচনায় কোনও অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি ৷ উভয় পক্ষই অবশ্য শান্তি বজায় রাখতে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে । (পিটিআই)

আস্তানা, 4 জুলাই: পূর্ব লাদাখের বাকি সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ ভারত ও চিন বৃহস্পতিবার বৈঠকে সম্পর্ককে স্থিতিশীল এবং নতুন করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও খবর ৷ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-কে স্পষ্টতই জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) দু'দেশকেই মেনে চলতে হবে।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায়, সীমান্ত রক্ষায় অতীতে দু'পক্ষের মধ্যে ওঠা প্রাসঙ্গিক দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি এবং প্রোটোকলগুলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। এক বিবৃতিতে, বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, জয়শঙ্কর ও ওয়াং পূর্ব লাদাখে এলএসি সমস্যা সমাধানে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ৷ বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী ভারতের অবিচল দৃষ্টিভঙ্গিও নিশ্চিত করেছেন ৷ সেই সঙ্গে, দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর ৷

জয়শঙ্কর এক্সে লিখেছেন, "আস্তানায় সিপিসি পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে ৷" তিনি আরও জানিয়েছেন, "এলএসি-কে সম্মান করা এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ-আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে ৷" ভারত বরাবরই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না-থাকলে চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, "দুই মন্ত্রী উভয় পক্ষের কূটনৈতিক এবং সামরিক আধিকারিকদের বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের (ডব্লিউএমসিসি) একটি প্রাথমিক বৈঠক করা উচিত বলেও তারা সম্মত হয়েছে ৷"

বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা দুই দেশের জন্যই ভালো নয়। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার পথে বাধাগুলি দূর করা এবং সীমান্তে শান্তি পুনরুদ্ধার করার জন্যও সওয়াল করেছেন ৷ ভারতীয় ও চিনা সামরিক বাহিনী 2020 সালের মে থেকে একটি অচলাবস্থায় আটকে রয়েছে ৷ 2020 সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ৷ দুই পক্ষই এই বিরোধের সমাধানের লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারিতে উচ্চপর্যায়ের সামরিক আলোচনার শেষ দফায় বসেছিল। যদিও 21তম রাউন্ডের আলোচনায় কোনও অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি ৷ উভয় পক্ষই অবশ্য শান্তি বজায় রাখতে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে । (পিটিআই)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.