ঢাকা, 25 জুলাই: চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বিলোপের দাবিতে তুমুল ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ ৷ সে দেশে চলা চরম অস্থিরতার পরিস্থিতিতে নতুন করে বিতর্কের ঝড় তুলল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি' ৷
সম্প্রতি একুশের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশে আক্রান্তদের 'আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি' দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা ৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ৷ সূত্রের খবর, ভারতের হাইকমিশনে পড়শি দেশের সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, মমতার এই 'আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি' সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করতে পারে !
ভারতের হাইকমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ সরকার বলেছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটটি উস্কানিমূলক এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মিথ্যা উপাদানে ভরা । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ৷ ভারত সরকারকেও এ বিষয়ে অবগত করানো হয়েছে বলে জানান তিনি ৷
গত রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গে এলে তিনি ফেরাবেন না । তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য তাঁর সহমর্মিতা রয়েছে।
মমতার এই মন্তব্যের পরই 'ঘরে-বাইরে' বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ বিরোধীদের দাবি, সীমান্ত পাড়ের অনুপ্রবেশকে মমতা বৈধতা দিতে চাইছেন । এই বিষয়গুলি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বিলোপের দাবিতে চলা পড়ুয়াদের বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত 180 জনেরও বেশি আন্দোলনকারী প্রাণ হারিয়েছেন ৷ অন্তত এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম । গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট সে দেশে তথ্যের অবাধ আদান-প্রদানকে সীমিত করেছে । মঙ্গলবার রাতের পর থেকে ব্যাঙ্ক, প্রযুক্তি সংস্থা এবং মিডিয়া আউটলেটগুলির মতো ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে ।