হায়দরাবাদ: এখনকার জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকে ডায়াবেটিসের সমস্যায় পড়েন ৷ ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যার হাত থেকে সহজে মুক্তি মেলে না ৷ অসাবধানতা এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে । যত্ন না নিলে কিডনি ও চোখও আক্রান্ত হতে শুরু করে । ডায়েট নিয়ন্ত্রণ এবং হালকা ব্যায়ামের সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় । তবে সবার আগে জানা দরকার ডায়াবেটিসের প্রকার ও লক্ষণ ৷
ডায়াবেটিস কত প্রকার (What are the types of diabetes)?
পুনের সায়াদ্রি হাসপাতালের তথ্য অনুয়ায়ী, ডায়াবেটিস সাধারণত তিন প্রকার ৷ টাইপ 1 ডায়াবেটিস, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ৷
টাইপ 1 ডায়াবেটিস: এই ডায়াবেটিস সাধারণত কিশোরদের মধ্যে দেখা যায় ৷ এই ধরনের ডায়াবেটিস সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ৷ এছাড়াও অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষকে ধ্বংস করতে পারে ৷
টাইপ 2 ডায়াবেটিস: এই হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, এই ডায়াবেটিস সাধারণত 90-95% মানুষ দেশি আক্রান্ত হন ৷ এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ ইনসুলিন পর্যাপ্ত গ্রহণ করে না ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা কমে যায় ৷
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: এই ধরনের ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থায় ঘটে যখন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীর ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে । তবে এই ডায়াবেটিস গর্ভধারনের কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তবে পরে টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থাকে ৷
তবে অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোপুরি নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ৷ তার জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা, ডায়েট চার্ট করা প্রয়োজন ৷ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রখতে কিছু খাবার খাওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৷ জেনে নিন ডায়েটে কী কী রাখতে পারেন ৷
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন ৷ তারজন্য বীজ, বাদাম, ভুট্টা জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখুন ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ফাইবার সমৃদ্ধ শাক সবজি যেমন- বাঁধাকপি, পালংশাক, বিট ইত্যাদি ৷ এছড়াও ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, পটল, কুমড়ো খেতে পারেন ৷
আরও পড়ুন:
পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)