কলকাতা: প্রস্রাবের সাধারণ যে ঝাঁঝালো গন্ধটি রয়েছে, সেটি আসলে অ্যামোনিয়া থেকে উৎপন্ন হয় । কিন্তু তারও একটি মাত্রা রয়েছে । যদি প্রস্রাবের গন্ধ অসহনীয় হয়ে ওঠে, তবে তা নানাবিধ সমস্যার ঝুঁকি হতে পারে । প্রস্রাবের গন্ধ বার বার আসলে হতে পারে নানান সমস্যার শিকার ৷ কখনও কখনও, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব রোগ সংক্রমণ এবং অন্যান্য অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত অবস্থার উপসর্গ হতে পারে ।
কারণগুলি কী: বিখ্যাত ইউরো-অঙ্কোলজিস্ট ডাঃ সঞ্জয় আদলা বলেন, "প্রস্রাবের রং, মাঝে মাঝে গন্ধ হলেও টেনশন করার দরকার নেই । উপরোক্ত উপসর্গগুলির কোনও একটির কারণ বিশ্লেষণ করতে বলা হয় ।"
এনআইএইচ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ রিপোর্ট অনুযায়ী এর মূল কারণ হল আমরা আগের দিন যে খাবার খেয়েছি এবং পান করেছি তাও অনেক সময় নির্ভর করে । উদাহরণস্বরূপ, দিনে দশবার চা এবং কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করা এবং মশলাদার খাবার খাওয়ার ফলে প্রস্রাবের রঙ এবং গন্ধ পরের দিন পরিবর্তন হতে পারে ।
এছাড়াও চিকিৎসক জানান, রাতে বেশি অ্যালকোহল পান করলে সকালে প্রস্রাবের রং বদলে যায় । এতে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ তাছাড়া কোনও ওষুধ ব্যবহার করলেও প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে থাকে ।
কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব ?
চিকিৎসক বলেন, "প্রস্রাবের সময় গন্ধ, চুলকানি এবং বিবর্ণতা রোধ করতে প্রতিদিন 3 লিটার জল পান করা প্রয়োজন । স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতিও নজর দেওয়া দরকার ৷ এছাড়াও প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন এবং ফল ও সবজির সঙ্গে সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন ৷"
প্রস্রাবের সময় প্রস্রাবের রং, ফেনা বা দুর্গন্ধের পরিবর্তন হলে স্ট্রেস করার দরকার নেই । এমনটা হলে, আপনি যে খাবার খেয়েছেন সেটাও কারণ হতে পারে । তাই যখন এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তখন মনে রাখা ভালো যে, আপনি আগে কী খেয়েছেন । এগুলি ছাড়াও কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7277101/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে)