হায়দরাবাদ: প্রতিদিন অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন ? যা খাচ্ছেন হজম হচ্ছে না ? অ্যাসিডিটির ফলে গলা জ্বালা করছে ? খাওয়ার পর পেট ও বুকে জ্বালাপোড়া । অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন । পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরির কারণে এই সমস্যা হয় । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
আদা: আদায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন । বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন তাঁদের আদার টুকরো জলে ফুটিয়ে খাওয়ার আগে বা পরে চায়ের মতো করে পান করা উচিত । বলা হয়ে থাকে যে এটি বুকের প্রদাহ এবং অ্যাসিডিটি কমায় ।
মৌরি: বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌরির বীজ খাদ্য হজম দ্রুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে বা জলে সেদ্ধ করা ভালো । এটি পেটে প্রদাহ কমাতে সাহায্য় করে । তবে মৌরির পরিবর্তে জিরে বীজ ব্যবহার করাও যেতে পারে ।
বাটারমিল্ক: বিশেষজ্ঞরা জানান, বাটার মিল্ক শরীরের জন্য খুবই উপকারী । এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড খাবার হজমে সাহায্য করে ৷ যার ফলে পাকস্থলীর অম্লতা কমায় ও প্রদাহ ও ব্যথার মতো উপসর্গ কমায় । এক গ্লাস বাটারমিল্কে সামান্য বিট নুন ও ভাজা জিরার গুঁড়ো যোগ করলে আরও উপকার পাওয়া যাবে ।
তুলসি: তুলসি ওষুধি গুণে ভরপর ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, তুলসি আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে । এটি শরীরের জন্য অ্যান্টি-বায়োটিক হিসেবে কাজ করে । তুলসি পাতা চিবিয়ে বা জলে সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করলে এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে । এটাও বলা হয় যে প্রতিদিন তুলসির রস পান করলে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা এড়ানো যায় ।
2014 সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ট্রান্সডিসিপ্লিনারি হেলথ সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা যায়, তুলসি পাতা খাওয়া অম্বল এবং বমি বমি ভাবের মতো অ্যাসিডিটির লক্ষণগুলি কমাতে কার্যকর । দিল্লির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডাঃ শিবপ্রসাদ সিং এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৷
গুড়: এটি স্বাদের পাশাপাশি এটি শরীরের জন্যও ভালো । অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে গুড় খাওয়া ভালো ৷ এতে আপনার অস্বস্থি কমতে পারে ৷
লেবুর রস: এক গ্লাস কুসুম গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে পাকস্থলীতে উৎপন্ন অ্যাসিড কমে যায় ।
দুধ: ঠান্ডা দুধ পান করলে পেটের সমস্যা কম হয় । পেটের প্রদাহ কমাতে চিনি ছাড়া এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় ।