বয়স হয়েছিল 'মাত্র' 73 বছর ৷ জাকির হুসেনের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিশ্ব ৷ যদিও অতর্কীত হানা নয়, মৃত্যু তাঁকে জানান দিচ্ছিল বেশ কয়েকবছর ধরেই ৷ তবলা মায়েস্ত্রো আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে ৷ সঙ্গে দোসর ছিল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও ৷ বিভিন্ন সূত্রের খবর, উস্তাদ জাকির হুসেন দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন । সম্প্রতি তাঁর স্টেন্টও বসানো হয়েছিল । যদিও শেষ পর্যন্ত ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসের কাছেই হার মেনেছেন তবলার জাদুকর ৷
জাকির হুসেনের মৃত্যুতে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা এসেছে দেশ-বিদেশের তারকা শিল্পীদের কাছ থেকে ৷ প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন করিনা কাপুর, রণবীর সিং, রীতেশ দেশমুখ এবং ভূমি পেডনেকার-সহ একাধিক সেলিব্রিটি । জাকির হুসেনকে তাঁর প্রজন্মের সর্বশ্রেষ্ঠ তবলা বাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয় । তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ কি জানেন ?
জাকির হুসেনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁর মৃত্যুর কারণ ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস ৷ এটি একটি বিরল ফুসফুসের রোগ । জেনে নিন, এই রোগ সম্পর্কে ৷
ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস (আইপিএফ) কী ?
ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস ফুসফুসের একটি বিরল রোগ । আমরা যখন শ্বাস নি, তখন অক্সিজেন ফুসফুসের ক্ষুদ্র বায়ুর থলির মধ্য দিয়ে রক্তের প্রবাহে যায় এবং সেখান থেকে তা শরীরের সমস্ত অংশে পৌঁছয় । যখন আইপিএফ হয়, তখন ফুসফুসের ভিতরে দাগের টিস্যু বাড়তে শুরু করে ৷ যারফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা বাড়তে থাকে । এরফলে ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের অভাব হয় । এটি আপনার শরীরের অন্যান্য অংশগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দিতে পারে ।
ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে চিকিৎসা:
ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসের কোনও নিরাময় নেই ৷ শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । অবস্থা গুরুতর হলে, ফুসফুস প্রতিস্থাপনই শেষ বিকল্প ।
ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসের লক্ষণ: ধীরে ধীরে, ফুসফুসের টিস্যু বাড়তে শুরু করে এবং ফুসফুসে আলসার হয়ে যায় । এটি আমাদের বুকে ব্যথা বা শক্ত হওয়ার মতো সমস্যা অনুভব করে । এছাড়াও পা ফুলে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া, ঘাড়ে ব্যথা, অতিরিক্ত কাশি, ক্লান্তি অনুভূতি, জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK448162/