হায়দরাবাদ: অ্যালঝেইমার হল এক ধরনের ডিমেনশিয়া যা একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের সেই অংশকে প্রভাবিত করে যা স্মৃতি, ভাষা এবং চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে । এই কারণে, একজন ব্যক্তি সাধারণ দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপগুলি পরিচালনা করা কঠিন বলে মনে করেন । সম্প্রতি অ্যালঝেইমার্স নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ বায়ু দূষণের সংস্পর্শে অ্যালঝেইমার রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে । বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, নিউরোপ্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষায় মস্তিষ্কে ব্ল্যাক কার্বন কণার উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ বেলজিয়ামের 4 অ্যালঝেইমারে আক্রান্ত ব্যক্তির বায়োব্যাঙ্ক মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করা হয়েছে ।
মস্তিষ্কের কর্টেক্সে ও সম্মুখ ভাগে বৃহদাকার পিরামিড আকৃতির অ্যাসিটাইলকোলিন স্নায়ুকোষ থাকে ৷ যা আসিটাইলকোলিন ক্ষরণের মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এই আসিটাইলকোলিন স্নায়ুকোষে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অণুনালিকা থাকে । অ্যালঝেইমার রোগে টাউ প্রোটিনের গঠনিক পরিবর্তনের কারণে এই আসিটাইলকোলিন স্নায়ুকোষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় । সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা, অনুধাবনের ক্ষমতাও হ্রাস পায় ।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, থ্যালামাস যা মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মস্তিষ্কের মধ্যমস্তিষ্ক থাকে এবং প্রধানত ঘ্রাণ বোধে সাহায্য করে ৷ পাশাপাশি প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্সে, হিপ্পোক্যাম্পাসে যা মেরুদণ্ডী প্রাণীর মস্তিষ্কের প্রধান উপাদান যা শেখার এবং স্মৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উচ্চ সংখ্যক কালো কার্বন কণা পাওয়া গিয়েছে ।
জামা নেটওয়ার্ক ওপেনে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, ‘‘পরিবেষ্টিত বায়ু দূষণের কণা মানুষের মস্তিষ্কে জমা হতে পারে ৷ যা জ্ঞানীয় কার্যকারিতার সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের একাধিক জায়গায় জমা হতে পারে ।’’ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘এটি নিউরো-ডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডারের সূচনা করে ৷’’
আরও পড়ুন: