কলকাতা, 7 এপ্রিল: আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস । এই বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে ট্যাগলাইন হল, ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’। কিন্তু স্বাস্থ্যের উপর এই অধিকারগুলি কী ? আদৌ কি আমরা এই অধিকারগুলি পেয়ে থাকি ? বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সেই বিষয়েই খোঁজ চালালো ইটিভি ভারত ।
চিকিৎসক চিরজিত দত্ত জানান, সংবিধানে স্বাস্থ্যের উপর মানুষের মৌলিক অধিকার বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে কিছু না থাকলেও পরোক্ষভাবে বেশ কিছু জিনিস রয়েছে । স্বাস্থ্যকে ঘিরেও বেশ কিছু বিষয়ের কথা রয়েছে । এবার এই স্বাস্থ্যের ওপর মৌলিক অধিকারের মধ্যে প্রাথমিক বিষয়গুলি থাকে ৷ যেমন প্রেসার, সুগার এই ধরনের রোগ । কখনওই এই স্বাস্থ্যের অধিকারের মধ্যে অস্ত্রোপচার বা ক্যানসার জাতীয় চিকিৎসা পরে না ।
তবে এই প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয় থাকে এই অধিকারের মধ্যে । যা অধিকাংশ চিকিৎসকই মনে করেন, তা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত রাজ্য তথা দেশবাসী । কিন্তু কেন ? চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানান, এই অধিকারের মধ্যে পরিকাঠামোগত উন্নতির কথাও বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । দেশের তথা রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে এই পরিকাঠামোগত উন্নতি দরকার । অদ্ভুত ব্যাপার এই বিষয়টা নিয়ে কখনোই দেখিনি যে লোকসভায় আলোচনা হচ্ছে । ভালো পরিকাঠামো পেতে গেলে মানুষকে যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে । কিন্তু সেখানে আকাশছোঁয়া খরচ । সরকারি হাসপাতালে গেলেই ঘাটতি । এই যে ভারসাম্যটা আনতে সরকার ব্যর্থ । এই ব্যর্থতা রুখতে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প এলেও এগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে ।
চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "এই স্বাস্থ্যের অধিকারের অর্থ হচ্ছে একটা দেশে যত মানুষ থাকুক না কেন, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে । কিন্তু স্বাধীনতার 75 বছর পরেও এই অমৃতকালে আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে গেলে 62 শতাংশ খরচ তাদের পকেট থেকেই দিতে হয় । আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যের যথাযথ পরিকাঠামোতে পৌঁছতে পারে না । ফলের স্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকারের যে বিষয় তা তো হয় না বরং আমাদের দেশে তথা রাজ্যে দেখা যায় ঠিকমতো পরিষেবা পাওয়ার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হয় ।"
আরও পড়ুন: