কলকাতা: বাদাম ও মাখানা সন্ধ্যার সময় স্ন্যাকসের জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে । সেজন্য অনেকেই এগুলি দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন। এর নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। ওজন কমাতে এগুলি অত্যন্ত কার্ষকরী। তবে ওজন কমানোর জন্য এই দুটির মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকরী, তা নিয়ে মতপ্রার্থক্য রয়েছে (Peanut Vs Makhana Which is Good for health)৷
বাদাম: বাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ । এগুলি খেলে দীর্ঘ সময় খিদে লাগে না । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিমিতভাবে বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধি রোধ ও খিদে কমাতে পারে। তাছাড়া বাদামের পুষ্টিগুণ হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য় করবে। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য় করে থাকে।
মাখানা: মাখানা পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টিতে ভরপুর । এগুলি ওজন কমাতে এবং পেশীর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাখানার প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য আপনার তারণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে মাখানা খেলে অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখানা খেলে হার্ট ও অনিদ্রার সমস্যা এবং ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
দু'টির মধ্যে কোনটি ভালো ?
বাদাম এবং মাখানা উভয়েরই একই রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে । এগুলি সুস্থ থাকতে খুবই সহায়ক । তবে বাদামের তুলনায় মাখানাতে ক্যালোরি কম থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে ব্রেকফাস্টে মাখানা খেলে ভালো ফল পেতে পারেন। ওজন হ্রাস ছাড়াও, অন্যান্য স্বাস্থ্যসুবিধা পেতে উভয়ই গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
2018 সালে 'জার্নাল অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজম'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যারা 8 সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন 50 গ্রাম মাখানা খেয়েছেন তাদের ওজন হ্রাস পেয়েছে। দিল্লির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউট্রিশনের ডাঃ শোভা শর্মা এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "মাখানায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।"
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামতও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷