হায়দরাবাদ: হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কোলেস্টেরল হল এক ধরনের চর্বি, যা রক্তের মাধ্যমে শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় । শরীরের সুস্থ ক্রিয়াকলাপের জন্য এটি অপরিহার্য ৷ তবে এর পরিমাণ বাড়লে এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক হতে পারে ।
কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে ধমনীতে ব্লকেজ হতে পারে ৷ যার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় । তাই কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি । তবে আমাদের কিছু বদ অভ্যাসের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে । আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে । জেনে নিন, কোন অভ্যাসগুলি ব্রেকফাস্টে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে (What habits can raise cholesterol levels at breakfast)।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাওয়া: ব্রেকফাস্টে বেকন, সসেজ ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় । এই কারণে ধমনী বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় । অতএব ব্রেকফাস্টে প্রক্রিয়াজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন না ।
বেকারি: ব্রেকফাস্টে মানুষ প্রায়ই রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে । এগুলি হালকা এবং প্রায়শই ব্রেকফাস্টের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৷ এগুলিতে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে । এই কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে । তাই ব্রেকফাস্টে এই জিনিসগুলি রাখবেন না ।
ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া: ব্রেকফাস্ট না করার কারণে আপনার মেটাবলিজম ব্যাহত হয় । এর ফলে শুধু আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না ৷ কোলেস্টেরলের মাত্রাও প্রভাবিত হয় । এছাড়াও ব্রেকফাস্টে না করার কারণে শক্তি হ্রাস পায় এবং খিদে বাড়ে ৷ যার কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা বাড়ে ।
কম ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া: ব্রেকফাস্টে ফাইবার কম থাকায় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে । তাই ব্রেকফাস্টে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন গোটা শস্য, ফলমূল, শাকসবজি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন । এটি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করবে ।
উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া: ব্রেকফাস্টে চিনি সমৃদ্ধ সিরিয়াল, প্যাকেটজাত ফলের জুস ইত্যাদি খেলে শরীরে চিনির মাত্রা বেড়ে যায় ৷ যা রক্তে শর্করার পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাকেও প্রভাবিত করে । তাই এগুলির পরিবর্তে আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন । উদাহরণস্বরূপ, আপনি প্যাকেটজাত রসের পরিবর্তে ফল খেতে পারেন ৷ এটি আপনাকে ভিটামিন এবং খনিজ এবং সেইসঙ্গে ফাইবার সরবরাহ করবে এবং চিনির পরিমাণও কমিয়ে দেবে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)