কলকাতা: জীবনযাত্রার অবনতি এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রতি অসতর্কতার কারণে আজকাল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে । বর্তমানে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার শিকার হচ্ছে । নিম্ন রক্তচাপ এই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি । আজকাল অনেকেই বিপির সমস্যায় পড়তে শুরু করেছে । যখন একজন ব্যক্তির নিম্ন রক্তচাপ থাকে, তখন তাঁর রক্তচাপের মাত্রা হঠাৎ করে কমে যায় । নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হাইপোটেনশন নামেও পরিচিত । শরীরে নিম্ন রক্তচাপের কারণে, একজন ব্যক্তি নার্ভাসনেস, ক্লান্তি এবং একাগ্রতার অভাব ইত্যাদি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে । এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি লো বিপির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই খাবারগুলি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন ।
অনেকেই মনে করেন উচ্চ রক্তচাপ বিপজ্জনক এবং নিম্ন রক্তচাপের কোনও সমস্যা নেই । কিন্তু তা নয়, বলছেন জেনারেল প্র্যাকটিশনার ডি. প্রমোদ কুমার । আপনি কি জানেন এরফলে স্ট্রোক থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত সমস্যা হয় ?
জেনারেল ফিজিশিয়ান ডঃ প্রমোদ কুমার বলেন, "সাধারণত, 120/80 mm hg এর BP আদর্শ । যদি এটি 90/60 mmHg-এর কম হয়, তাহলে এটিকে লো-BP (নিম্ন রক্তচাপ) হিসাবে বিবেচনা করা হয় ৷ নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিলে কী করবেন ? এটি থেকে মুক্তি পেতে কী খাবেন ? জেনে নিন, বিস্তারিত ৷"
নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার কারণ কী (What causes low blood pressure problems)?
হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা
থাইরয়েড
কম রক্তে শর্করা
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
ডিহাইড্রেশন
রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া
নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ (Symptoms of low blood pressure):
মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ঝাপসা দৃষ্টি, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, হৃদস্পন্দন, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি ৷ এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ৷
নিম্ন রক্তচাপের জন্য সেরা ডায়েট
1) কিশমিশ: এটি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যকারিতাকে ঠিক রাখে এবং সঠিক রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখে । ভালো ফলাফল পেতে কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরদিন সকালে খান ।
2) দুধ এবং বাদাম: 4-5টি ভেজানো বাদাম পেষ্ট করে নিন এবং প্রতিদিন সকালে এক কাপ হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন । এটি খেলে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে ৷
3) নুন: নুনের সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায় । তাই আপনার খাওয়া খাবারে পর্যাপ্ত লবণ আছে কিনা তা নিশ্চিত করা জরুরি ৷
4) রসুন: রসুনের উপাদান রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে । আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন খেতে পারেন বা রাতে ঘুমানোর আগে রসুনের 1 কোয়া খেতে পারেন । এছাড়া নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রে কফি, চকলেট, কলা, কিউই ইত্যাদি খাওয়া ভালো । এগুলি ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও ওআরএস খাওয়া ভালো ৷
https://www.nhlbi.nih.gov/files/docs/public/heart/new_dash.pdf
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য পুষ্টিবিদ-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত মতামত ও প্রচলিত ধারণার উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)