হায়দরাবাদ: ডায়াবেটিস আজকাল একটি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে ৷ এটি আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের ফল । এই রোগ থেকে মক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে ৷ এই রোগ নিরাময়ের জন্য ডায়েট করা গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প কাজে লাগিয়ে শর্করার মাত্রাকে বজায় রাখা সম্ভব ৷ রক্তে শর্করা বজায় রাখতে, খাদ্যতালিকায় লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) ফল অন্তর্ভুক্ত করা খুবই উপকারী । ডায়াবেটিস রোগীরাও এই ফল খেলে দারুণ উপকার পেতে পারেন ।
কিছু ফল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে ৷ ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শক্তি দেয় । এগুলিতে আরও বেশি ফাইবার এবং পুষ্টি রয়েছে যা ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখে । স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য সঠিক পরিমাণে কম জিআই ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
কম গ্লাইসেমিক সূচক কী (What is low glycemic index)?
একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ ভারসাম্যহীনভাবে বেড়ে যায় ৷ কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবারগুলিকে কত দ্রুত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় তা নির্ধারণ করে । যে খাবারগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি ঘটায় না সেগুলি স্থিতিশীল গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলগুলিতে কম গ্লাইসেমিক সূচকে পাওয়া যায় ৷
চেরি: ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৷ এটি রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়া অনেক রোগেও এটি উপকারী ।
আপেল: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্য অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ৷ এটি কম গ্লাইসেমিক সূচককে নির্দেশ করে । এটি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকে । এছাড়াও এরমধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদানও রয়েছে ৷
কলা: কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম । এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । এটি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা রক্তচাপ কমাতে ও ক্যানসার, হাঁপানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে ।
মাস্কমেলন: ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন বি1, বি3, বি6, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ । এটি রক্তে চিনিরল পরিমাণ বজায় রাখতে কাজ করে । এছাড়া অন্যান্য রোগ প্রতিরোধেও এটি উপকারী । এছাড়াও আঙুর, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আম, নাশপাতি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল ৷ সবমিলিয়ে এই ফল খেলে আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় ৷
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)