হায়দরাবাদ: অফিসে কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও অনেক সময় আমরা খাবারের দিকে মনোযোগ দেই না । কখনও ব্রেকফাস্ট আবার কখনও দুপুরের খাবার এড়িয়ে যেতে হয় । দীর্ঘমেয়াদে এই অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যের নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে । যার প্রথম প্রভাব দেখা যায় দুর্বলতা ও ক্লান্তির আকারে (In the form of weakness and fatigue)।
শরীর একটি বাহনের মতো এবং এটিকে সাধারণ যানবাহনের মতো চালানোর জন্যও জ্বালানীর প্রয়োজন হয় এবং খাদ্যই এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন । তাই স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে দীর্ঘ সময় সুস্থ রাখবে । জেনে নিন, এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যা আপনাকে তাত্ক্ষণিক শক্তি দেয় । কাজের সময় যদি খাওয়ার সময় না পান তবে এই জিনিসগুলি খেয়ে আপনি দুর্বলতা এবং ক্লান্তির সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন ।
আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে । এটাও বলা হয়ে থাকে যে 'প্রতিদিন একটি আপেল, ডাক্তারকে দূরে রাখে'।আপেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শক্তিও যোগায় ।
কলা: কলা ভিটামিন, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় । এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য । কলা একটি সম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয় । দুই থেকে তিনটি কলা খেলে শুধু পেট ভরে না, শরীরে শক্তিও জোগায় ।
ঘি: খুব বেশি ঘি খেলে স্থূলতা বাড়ে ৷ কিন্তু সীমিত পরিমাণে খেলে শরীরে শক্তি যোগায় । শরীরের শক্তি ও শক্তি বাড়াতে ঘি খাওয়া উপকারী । তবে ঘি শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো ।
কিশমিশ: ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায়। অর্থাৎ, আপনি যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর কথা ভাবছেন, তাহলে অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল খান । শক্তির জন্য অবশ্যই কিশমিশ খান । কিশমিশ যেমন আছে তেমনি বা দুধে ফুটিয়ে পান করতে পারেন । আয়রন সমৃদ্ধ কিশমিশ রক্তের ঘাটতি পূরণ করে ।
পুদিনা: পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া সত্বেও যদি সারাদিন ক্লান্ত বোধ করেন যার কারণে আপনার কাজ করতে ভালো লাগে না ৷ তাহলে তুলসি পাতা খেলে এই অভিযোগ দূর হবে । চা বা জলে তুলসি পাতা সিদ্ধ করে পান করলে দুর্বলতা, ক্লান্তি দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়
বেদানা: বেদানাও সেই ফলগুলির মধ্যে রয়েছে যা আমাদের তাত্ক্ষণিক শক্তি দেয় । আসলে শরীরে রক্তের অভাবে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয় এবং ডালিম খেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার কারণে এই দুটি সমস্যাই চলে যায় ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)