হায়দারাবাদ: শীত হোক বা গ্রীষ্ম সব মরশুমেই আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয় । ঠান্ডা লেগে যেতে পারে ভেবে, বাচ্চাদের অনেক সময়ে বেশি আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয় না। আইসক্রিম খেলে দাঁতে পোকা, গলা ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনটাই ভাবেন বাবা-মায়েরা । তবে সোশাল মিডিয়ার পুষ্টিবিদ রাখি চট্টোপাধ্যায় শেয়ার করেছেন বাচ্চাদের আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে ৷
আপনাদের কী মনে হয় ? আইসক্রিম কেন খাওয়া যায় না ? তিনি বলেন, "আইসক্রিম খাওয়া যায় ৷ কারণ আইসক্রিম সাধারণত ডেয়ারি প্রোডাক্ট ৷ যদি ঘি বা দুধ খাওয়া হয়, তাহলে আইসক্রিম কেন খাওয়া যাবে না ৷ যে আইসক্রিম কিনে খাওয়া হয় তারমধ্যে প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে ৷ বিশেষ করে আইসক্রিমের স্বাদ বাড়ানোর জন্য তাতে যা ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন- গুড়ো দুধ, মোষের দুধ সেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে ৷"
তিনি পরামর্শ দেন, যদি বাচ্চাদের আইসক্রিম দিতেই হয় বাড়িতে বানিয়ে দিলে ভালো ৷ আপনি যদি বাচ্চাকে একদিন করে আইসক্রিম দেন, তাতে কোনও অসুবিধা হবে না ৷ কারণ এটি খুবই পুষ্টিকর ৷ এছাড়াও আইসক্রিম যেহেতু একটা দুগ্ধজাত দ্রব্য় তাই এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও বি কমপ্লেক্স ৷ এই প্রত্যেকটা জিনিস বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷
পুষ্টিবিদ পরামর্শ দেন, তবে আপনি যখন বাড়িতে বানান এতে ব্যবহার করতে পারেন লো ফ্যাটের মিল্ক ৷ এছাড়াও যে বাচ্চাদের ওবেসিটি-র সমস্যায় ভুগছে তাদের চিনি একটু কম দিতে পারেন ৷ চিনির বদলে গুড়ের পাউডার, ড্রাইফ্রুট গুড়ো, মধু করে ব্য়বহার করতে পারেন ৷ এছাড়াও এরমধ্যে সাধারণ চকলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকলেট ব্যবহার করতে পারেন ৷ এর ফলে ক্যালোরির ভ্যালু কম হবে এমনটা নয় ৷ এরমধ্যে যে নিউরো ভ্যারিয়াস ট্রান্সমিটার থাকে, তা ফিলগুড এফেক্ট তৈরি করতে সাহায্য় করবে ৷ যেমন- সেরোটোমিন এই জাতীয় খাবার গুড নিউরো ট্রান্সমিটারগুলিকে একটা অ্যাক্টিভেট করে আমাদের মধ্যে একটা ফিল গুড এফেক্ট আনে ৷ এছাড়াও আইসক্রিমের মধ্যে যে ট্রিপটোফ্যান থাকে, তা সারাদিন চনমনে থাকতে সাহায্য় করে ৷
তবে কিছু জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন: আইসক্রিমে লো ফ্যাট মিল্ক ব্যবহার করা দরকার ৷ রোদ থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে আইসক্রিম খাওয়া উচিত নয় ৷
আরও পড়ুন: