কলকাতা: আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে চোখের চারপাশে ফোলাভাব অনুভব করি । বিশেষ করে চোখের নীচে অনেকের ফোলাভাব থাকে । এটি সাধারণত কিছুক্ষণ পরে কমে যায় । কিন্তু মাঝে মাঝে দু-এক দিনের জন্য এমন হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, অ্যালার্জি, শুষ্ক চোখ, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, বেশি নুন খাওয়া, পর্যাপ্ত জল পান না-করা, ধূমপান ও মদ্যপান এই অবস্থার কারণ হতে পারে । এর জন্য কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন ৷
আলু: আলুতে চোখের নীচের ফোলাভাব কমানোর গুণ রয়েছে । এর মধ্যে থাকা ক্যাটেকোলেজ নামক পদার্থ প্রদাহকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে । সেজন্য একটি মাঝারি সাইজের আলু গোল করে কেটে ফ্রিজে 30 মিনিট রেখে দিতে হবে । এরপর চোখের নীচে রেখে দিন । এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন করলে ভালো ফল পাওয়া যায় ৷
নুন জল: বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে নুন জল চোখের নীচের ফোলাভাব কমাতে ভালো কাজ করে । জল গরম করে তাতে হাফ চামচ নুন দিয়ে মেশান । এরপরে, দুটি তুলোর বল এতে ডুবিয়ে জল শুষে নিয়ে চোখের ফোলা জায়গায় রেখে দিন । এতে ভালো উপকার পাওয়া যাবে ৷ তবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন চোখের ভিতরে যাতে নুন জল কোনওভাবেই না ঢোকে ৷
ডিম: ডিমের পুষ্টিগুণ আমাদের সকলেরই জানা ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিম চোখের নীচে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে ৷ এরজন্য ডিম ফাটিয়ে একটি পাত্রে রেখে কুসুমটা তুলে নিয়ে সাদা অংশ চোখের ফোলা জায়গায় রাখুন ৷ 10 মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ৷ এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করলে অনেক উপকার পাওয়া যায় ৷
শসা: এটি চোখের উপর রাখলে ভালো উপশম পাওয়া যায় ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তারপরে 25 মিনিটের জন্য ফোলা জায়গায় রেখে দিন এতে আপনি আরাম পাবেন ।
টি ব্যাগ: এগুলি শুধু চা পানের জন্যই ভালো নয়, চোখের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে । এজন্য টি ব্যাগগুলি কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন । তারপর সেগুলি বের করে চোখের ওপর রাখুন । এটি 25-30 মিনিটের জন্য রাখলে ভালো উপাকার পাওয়া যায় ৷
আইস কিউব: বিশেষজ্ঞরা জানান, চোখের নীচের ফোলা কমাতে আইস কিউব সবচেয়ে ভালো । এরজন্য, একটি কাপড় নিয়ে তাতে 2টি বরফের টুকরো দিয়ে ফোলা জায়গায় 5 মিনিটের জন্য রেখে দিন ৷ এভাবে দিনে দু'বার করলে ফোলা কমে যাবে ।
2016 সালে 'জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিস' (Journal of Dermatology Research and Practice)-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, আইস কিউব ব্যবহার করলে চোখের ফোলাভাব এবং জ্বালা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে । সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জি ইউন এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷