ETV Bharat / health

‘নিঃশব্দ ঘাতক’ কোলেস্টেরল, সাবধান করছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া - GUIDELINES ON BLOOD CHOLESTEROL

Guidelines on Blood Cholesterol: রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া । উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়া এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷

cholesterol
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 6, 2024, 11:24 AM IST

Updated : Jul 6, 2024, 11:57 AM IST

হায়দরাবাদ, 6 জুলাই: আধুনিক ও ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা শরীরের দিকে নজর দিতে পারি না ৷ বিশেষত, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য় প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় শরীরচর্চার প্রয়োজন ৷ যা বিপুল সংখ্যক নাগরিকের পক্ষে হয়ে ওঠে না ৷ যার প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে ৷ দেখা যায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে ৷ এবার এই নিয়ে গাইডলাইন জারি করেছে সিএসআই ৷

রক্তে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ডিসলিপিডেমিয়া (Dyslipidemia) নামে পরিচিতি ৷ যা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ৷ সিএসআই চেয়ারম্যান চিকিৎসক প্রতাপচন্দ্র রথ বলেন, "ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা নীরব ঘাতক । উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের লক্ষণ সাধারণভাবে চোখে পড়ে না ৷ ফলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা হলে তা বুঝতে অনেক সময় লেগে যায় ৷"

ডিসলিপিডেমিয়া বা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ খারাপ কোলেস্টেরল (নিম্ন-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা LDL-কোলেস্টেরল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ৷ পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল (উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা HDL-কোলেস্টেরল)এর মাত্রা কমে যায়। কোলেস্টেরলের এই তারতম্য হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় ৷ বর্তমানে যা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রচুর নাগরিকদের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে ৷

ইতিমধ্যেই কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া-র পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,

  • বংশ পরম্পরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ এক্ষেত্রে পরিবারে কারও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মকে সাবধান হওয়ার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে ৷ নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করার কথা বলা হয়েছে এই গাইডলাইনে ৷ 18 বছর বয়স থেকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন ৷ প্রয়োজনে তার আগেও লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ৷ সিএসআই-এর জারি করা গাইডলাইন অনুযায়ী, লিপিড প্রোফাইল টেস্টের মাধ্যমেই কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা যায় ৷
  • নির্দেশিকা অনুযায়ী, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL-C) মাত্রা 100 mg/dL নীচে এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL-C) মাত্রা 130 mg/dL নীচে থাকতে হবে ৷
  • ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL-C) মাত্রা 70 mg/dL এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL-C) মাত্রা 100 mg/dL-এর নীচে রাখতে হবে ৷
  • যাঁরা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের আরও সাবধান হওয়া প্রয়োজন ৷ এই সকল ব্যক্তিদের খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL-C) মাত্রা 55 mg/dL এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL-C) মাত্রা 85 mg/dL-এর নীচে রাখতে হবে ৷

সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কোলেস্টেরল

  1. সুস্থ থাকতে এবং রক্তে কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাওয়া ৷
  2. প্রতিদিনের জীবন যাত্রায় যোগ ব্যায়াম ও শরীরচর্চার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করতে হবে ৷

হায়দরাবাদ, 6 জুলাই: আধুনিক ও ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা শরীরের দিকে নজর দিতে পারি না ৷ বিশেষত, সুস্থ জীবন যাপনের জন্য় প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় শরীরচর্চার প্রয়োজন ৷ যা বিপুল সংখ্যক নাগরিকের পক্ষে হয়ে ওঠে না ৷ যার প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে ৷ দেখা যায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে ৷ এবার এই নিয়ে গাইডলাইন জারি করেছে সিএসআই ৷

রক্তে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ডিসলিপিডেমিয়া (Dyslipidemia) নামে পরিচিতি ৷ যা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ৷ সিএসআই চেয়ারম্যান চিকিৎসক প্রতাপচন্দ্র রথ বলেন, "ডিসলিপিডেমিয়া বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা নীরব ঘাতক । উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের লক্ষণ সাধারণভাবে চোখে পড়ে না ৷ ফলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা হলে তা বুঝতে অনেক সময় লেগে যায় ৷"

ডিসলিপিডেমিয়া বা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ খারাপ কোলেস্টেরল (নিম্ন-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা LDL-কোলেস্টেরল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ৷ পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল (উচ্চ-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা HDL-কোলেস্টেরল)এর মাত্রা কমে যায়। কোলেস্টেরলের এই তারতম্য হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় ৷ বর্তমানে যা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রচুর নাগরিকদের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে ৷

ইতিমধ্যেই কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া-র পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,

  • বংশ পরম্পরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ এক্ষেত্রে পরিবারে কারও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মকে সাবধান হওয়ার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে ৷ নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করার কথা বলা হয়েছে এই গাইডলাইনে ৷ 18 বছর বয়স থেকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন ৷ প্রয়োজনে তার আগেও লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ৷ সিএসআই-এর জারি করা গাইডলাইন অনুযায়ী, লিপিড প্রোফাইল টেস্টের মাধ্যমেই কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা যায় ৷
  • নির্দেশিকা অনুযায়ী, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL-C) মাত্রা 100 mg/dL নীচে এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL-C) মাত্রা 130 mg/dL নীচে থাকতে হবে ৷
  • ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL-C) মাত্রা 70 mg/dL এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL-C) মাত্রা 100 mg/dL-এর নীচে রাখতে হবে ৷
  • যাঁরা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও কিডনির রোগে আক্রান্ত তাদের আরও সাবধান হওয়া প্রয়োজন ৷ এই সকল ব্যক্তিদের খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL-C) মাত্রা 55 mg/dL এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL-C) মাত্রা 85 mg/dL-এর নীচে রাখতে হবে ৷

সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কোলেস্টেরল

  1. সুস্থ থাকতে এবং রক্তে কোলেস্টেরেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাওয়া ৷
  2. প্রতিদিনের জীবন যাত্রায় যোগ ব্যায়াম ও শরীরচর্চার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করতে হবে ৷
Last Updated : Jul 6, 2024, 11:57 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.