কলকাতা: ব্যস্ততার জীবনে আজকাল রান্না করা থেকে শুরু করে বাজার করা সবকিছুর যেনো সময় কমে এসেছে ৷ স্ন্যাকস, মাংস থেকে শুরু করে শাকসবজি, আগে থেকে কেটে রাখা আনাজও কিনে রাখেন অনেকে ।
ফ্রোজেন খাবারের ছড়াছড়ি এখন চারিদিকেই ৷ অনেকেই সুপারমার্কেটের দোকান থেকে এইসব ফ্রোজেন খাবার কিনে থাকেন ব্যস্ত সময়ে রান্নার ঝামেলা কমাতে । কাজের সময় বাঁচাতে মানুষ এই খাবার অনেক বেশি ব্যবহার করে থাকেন ৷ ফ্রোজেন খাবারের জনপ্রিয় অনেক ৷ এখন বাজারে পরোটা, রুটি, সসেজ, মোমো, শিঙাড়া প্রায় সবকিছুই ফ্রোজেন পাওয়া যায় । তবে ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন, এই সমস্ত ফ্রোজেন খাবার শরীরের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর ৷ নষ্ট না হওয়ার জন্য ফ্রোজেন খাবারে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যা বহু রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে ৷
ডায়েটিশিয়ান বলেন, "বাজার থেকে ফ্রেশ সবজি কেনা শরীরের জন্য উপকারী ৷ এগুলিতে যত রকমের ভিটামিন মিনারেল থাকে সেগুলি ফ্রোজেন খাবারে নষ্ট হতে থাকে ৷ এছাড়াও ফ্রোজেন খাবার যখন প্যাক করা হয় তখন ভ্যাকুউম করা হয় ৷ তাই এইসব খাবারে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায় ৷ অনেক সময় মাছ ও শাকসবজিগুলিকে ব্লাঞ্চ করে প্যাক করা হয় ৷ ব্লাঞ্চ করার ফলে যে ওয়াটার লেভেলের ভিটামিন ও মিনারেল থাকে সেগুলির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় ৷ এই ব্লাঞ্চিংয়ের সময় এক ধরনের সল্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ এই সল্ট ব্যবহার করার জন্য কোনওভাবেই হাইপারটেনশন বা কিডনির রোগীকে খাওয়ানো উচিত নয় ৷"
এছাড়াও তিনি আরও জানান, ফ্রোজেন চিকেন বেকড করে খেলে এর মধ্যে লেবুর রস যোগ করে ও ফ্রেশ স্যালাড ব্যবহার করে শরীরের পুষ্টিগুণের মাত্রা কিছুটা বাড়ানো সম্ভব ৷ এইভাবে কোনও কোনও জিনিসের ব্যবহার করলে সাধারণ মানুষ ফ্রোজেন খাবার ব্যবহার করতে পারেন ৷ তবে সেটা অবশ্যই বেশি না ৷ তবে যতটা সম্ভব বাজারে ফ্রেশ খাবার কিনে খাওয়াই ভালো ৷
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC9105115/
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)