কলকাতা: এক গবেষণায় উঠে এসেছে নয়া তথ্য ৷ আপনি প্রতিদিন যা খান তা শরীর খারাপের দিকে পরিচালনা করতে পারে ৷ হৃদরোগ, স্ট্রোক বা টাইপ 2 ডায়াবেটিস থেকে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে বলছে গবেষণা ৷ সেইসব রোগের পিছনে মূল কারণ হতে পারে খাবার । শরীরের সব বড় বড় অঙ্গগুলিই রয়েছে সেই তালিকায় । এমনকি তালিকায় রয়েছে আয়ু কমে যাওয়ার আশঙ্কাও । একাধিক রোগ থাকলে যা হওয়া খুব স্বাভাবিক বলেই জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন প্রতিদিনের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করা প্রয়োজন ৷ স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মধ্যে শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য এবং চর্বি-মুক্ত বা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য এই তালিকার মধ্যে পড়ে । এছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাবার হল চর্বিহীন মাংস, মাছ, মটরশুটি, ডিম এবং বাদাম ইত্যাদি ৷
বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করেছেন, কীভাবে নির্দিষ্ট খাদ্য উপাদানগুলি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস থেকে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে । এগুলি কার্ডিওমেটাবলিক রোগ হিসাবে পরিচিত । এই তথ্য সিডিসির ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভে (এনএইচএএনইএস, National Health and Nutrition Examination Survey)-তে দেওয়া হয়েছে ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা খুব বেশি সোডিয়াম, প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনি-মিষ্টিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত লাল মাংস খান তাঁদের মধ্যে এই তিনটি রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি দেখা যায় । যাঁরা পর্যাপ্ত বাদাম ও বীজ, সামুদ্রিক খাবার ওমেগা-3 ফ্যাট, শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য বা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট খাননা তাঁদের মধ্যেও মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি ছিল । বিশ্লেষণ অনুসারে, 2012 সালে এই তিনটি রোগে মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক (45%) এই খাদ্য উপাদানগুলির খুব বেশি বা খুব কম কারণে যুক্ত ছিল ।
এনআইএইচ-এর হৃদরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডঃ ডেভিড গফ বলেন, "এই গবেষণায় কার্ডিওমেটাবলিক মৃত্যুর সংখ্যা দেখা গিয়েছে যা আমেরিকানদের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং সংখ্যাটি অনেক বড় । দ্বিতীয়ত এটি দেখা গিয়েছে, এই মৃত্যুর সাম্প্রতিক পতন কীভাবে খাদ্যের সঙ্গে উন্নতি করতে পারে । তাই নির্দিষ্ঠ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের ভিত্তিতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি ৷"
https://newsinhealth.nih.gov/2017/05/how-your-eating-habits-affect-your-health
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)