কলকাতা: খাবার পর অনেকেই পান খান ৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই পানকে মুখশুদ্ধি হিসাবে ব্যবহার করেন ৷ তবে শুধুমাত্র মুখশুদ্ধি নয়, এর উপকারী দিকও অনেক ৷ পানকে আর্য়ুবেদিক ভেষজ বলা হয় ৷ পান শুধু সুস্বাদুই নয়, হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে । জেনে নিন পানের উপকারী দিকগুলি (Health Benefits Of Betel Leaves) ৷
পান খনিজ, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি-সহ বিভিন্ন পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে: আজকাল বয়স নির্বিশেষে অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন । বিশেষজ্ঞরা জানান, পানপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে । এর অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব সহায়ক বলে মনে করা হয় । তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পান খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
2011 সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যারা 12 সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন 3 গ্রাম পানের গুঁড়ো জলে গুলে পান করেছেন, তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে । এই গবেষণাটি ডায়াবেটিস রিসার্চ অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস (Diabetes Research and Clinical Practice)-এ প্রকাশিত হয়েছে ৷ এই গবেষণায় মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজের ডায়াবেটিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ রাজেন্দ্রন অংশ নিয়েছিলেন । তিনি বলেন, "পান পাতায় অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।"
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিরাময় করে: পানের ঔষধি গুণ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে খুব ভালো কাজ করে । নিয়মিত পানপাতা খেলে অ্যাসিডিটি, বদহজম এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায় ।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে: পান মুখের লালা উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় । ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সমাধান করে ৷
হার্টের জন্য ভালো: পান হার্ট সুস্থ রাখতেও ভালো । যারা বুকে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন তারা এক চা চামচ পানের রস পান করলে তাৎক্ষণিক উপশম হয় ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নির্দিষ্ট গবেষণা থেকে প্রাপ্ত এবং এর মতামতও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক-বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত ৷ শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷