হায়দরাবাদ: আবহাওয়ার পরিবর্তনে সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়াটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে । প্রায় প্রতি বাড়িতেই আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা দেখা যায় । প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া আমাদের শরীরেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে । এই অবস্থায় তাপমাত্রা বারবার পরিবর্তিত হতে থাকলে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অসুস্থতাও ৷
সেরকম বর্ষাকালে সর্বত্রই বাড়ে ভাইরাল ফিভারের সমস্যা । এই সময়ে সিজনাল ফ্লুর সমস্যাও খুব দ্রুত দেখা দিতে থাকে । এমন পরিস্থিতিতে জেনে নিন, কীভাবে আমরা ভাইরাল জ্বর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি । পরামর্শ দিলেন নারায়ণা হসপিটালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়াবেটিস এডুকেটর রাখি চট্টোপাধ্যায় ৷
তিনি বলেন, "বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্য়ান্টি-ইনফ্লামেটরি যে খাবারগুলি আছে সেগুলি খাওয়া জরুরি ৷ এই শীত থেকে হঠাৎ গরম পড়া মানে এই সিজন চেঞ্জের এই সময়টা ইনফেকশন বা সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ৷ এই খাবারগুলির মধ্যে প্রথমেই তালিকায় রাখা হয় আদা ৷ আদার মধ্যে যে জিঞ্জেরাল রয়েছে সেটি ইনফেকশন কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে ৷ বিশেষ করে গলার ইনফেকশন ৷ এছাড়াও খাওয়া দরকার কাঁচা হলুদ । এর মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন ৷ এটি অ্যন্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে ভীষণ ভালোভাবে কাজ করতে পারে ৷ এইসময় প্রতিদিন যদি আমলকি খাওয়া হয়, এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে ৷
এই সময়ে শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের নাটস (বাদাম) খুব প্রয়োজনীয় ৷ যেমন কাজু, কিশমিশ, আমন্ড খাওয়া দরকার ৷ এগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যেগুলি আমাদের ইমিউনিটিকে বুস্ট করতে সাহায্য় করে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বীজ যেমন, কুমড়োর বীজ, তরমুজের বীজ খাওয়া দরকার । এগুলি শরীরে প্রোটিনের জন্য উপকারী ৷ কারণ ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করা অ্যামাইনো অ্যসিডগুলি এর মধ্যে পাওয়া যায় ৷ এছাড়াও অঙ্কুরিত ছোলাও উপকারী হতে পারে ৷ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং ফাইবার ৷ সকালে একমুঠো করে খেলে শরীরের জন্য উপকার হবে ৷
তিনি আরও বলেন, "ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণভাবে জরুরি ৷ অনেকসময় বাচ্চাদের এবং বড়দের ডায়েরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় ৷ এর জন্য টক দই খাওয়া দরকার ৷ সাধারণ মানুষের অনেকসময় ভ্রান্ত ধারণা থাকে, শীতকালে টক দই খেলে ঠান্ডা লাগে ৷ কিন্তু বিষয়টা একদমই ভুল ৷ তবে সেটি যেন সাধারণ তাপমাত্রায় থাকে ৷ তবে দই সকাল বা দুপুরেই খাওয়া দরকার ৷ এছাড়াও মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ডাল, সয়াবিন, দুধ, ছানা, স্মুদি ইত্যাদি খাওয়া দরকার । এছাড়াও শরীরের জন্য ভাত খাওয়া জরুরি ৷"
আরও পড়ুন: