কলকাতা, 31 মার্চ: জ্বর, সর্দি, কাশি, আর তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট - এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে । সব থেকে বেশি ভুগছে শিশুরা । কিন্তু সেই সর্দি-কাশি-জ্বরই ডেকে আনছে ভয়াবহ রোগ । তার নাম অ্যাডিনো ভাইরাস । বেশ কয়েক বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাড়ির শিশুরা । ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের । বহু শিশু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি । চিকিৎসকের মতে, বর্তমানে হাসপাতালে আসা শিশুদের মধ্যে 70 শতাংশই আক্রান্ত এই ভাইরাসঘটিত রোগে । কী এই রোগ ? কোন বয়সকে নিশানা করে এই রোগ ? কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে ? সেই বিষয়ে ইটিভি ভারত কথা বলল শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুমন পোদ্দারের সঙ্গে । যদিও স্বাস্থ্যভবনের দাবি, এখনও পরিস্থিতি হাতের মধ্যে । এই রোগকে ঠেকাতে চিকিৎসক থেকে হাসপাতাল পরিকাঠামো সবই তৈরি আছে ।
* কোন বয়সে হয় অ্যাডিনো ভাইরাস ?
চিকিৎসকের কথায়, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনও বয়সের মানুষ । তবে প্রকোপটা বেশি পরে শিশুদের উপর । যত ছোট বাচ্চা হয়, ভয় তত বেশি ।
* এই রোগের লক্ষণ কী ?
চিকিৎসক সুমন পোদ্দার বলেন, 96 ঘণ্টা জ্বর থাকতে পারে । আবার কারও সাতদিন অন্তর অন্তর জ্বর আসতে পারে । তার সঙ্গে চোখ লাল, পেটের সমস্যা, ডাইরিয়া, শ্বাসকষ্টের মতো বেশ কিছু লক্ষণও থাকে ।
* এই রোগ থেকে নিজের সন্তানকে দূরে রাখবেন কী করে ?
চিকিৎসক জানান, এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় হল করোনাকালের অভ্যেস ফিরিয়ে আনা । মাক্স, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে । যদি কোনও শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়, তাহলে তাকে স্কুলে না পাঠানোই উচিত । এমনকি সুইমিং পুল থেকেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে । কারণ যদি কেউ এই ভাইরাস নিয়ে জলে নামে, তাহলে তার থেকে এই ভাইরাস অন্যের শরীরে ছড়িয়ে যাবে । তবে এর পাশাপাশি এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র উপায় অতিরিক্ত জলপান ।
* কীভাবে চিকিৎসা করা হয় ?
চিকিৎসক জানান, বহু সময় আমরা বিভিন্ন পরীক্ষার পরেও বুঝতে পারি না । তবে এই রোগের লক্ষণগুলি যদি দেখা যায়, তাহলে এক মুহূর্ত দেরি করা উচিত নয় । কারণ এই অ্যাডিনো ভাইরাস প্রভাব ফেলে মানবদেহের শ্বাস এবং খাদ্যযন্ত্রে । এছাড়াও যদি কোনও শিশুর কোমর্বিটির সমস্যা থাকে, তাহলে এই রোগ ভয়াবহ । এই রোগ থেকে শিশু মৃত্যুও হতে পারে । ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
আরও পড়ুন: