কলকাতা: অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া ও জীবনধারণের কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া আজকালকার একটা বড় সসম্যা ৷ ওজনের সমস্যা হলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানান রোগ ৷ তাই যতটা সম্ভব ওজন স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন ৷ অনেকেই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না-দিয়ে এড়িয়ে যান ৷ ফলে ভবিষ্যতে আপনি কঠিন রোগের শিকার হতে পারেন ৷
ওজন বাড়ার অর্থ হল আপনার দেহে মেদ বৃদ্ধি পাওয়া। ফ্যাট বাড়লে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করে না। এছাড়া এক্ষেত্রে দেহের অন্যান্য অঙ্গেও ফ্যাট জমে। যার ফলে সমস্যা তৈরি হয়। ফলে ব্রেকফাস্টে কিছু ফল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ যা ওজন কমাতে সাহায্য করে ৷ জেনে নিন, ব্রেকফাস্টে কী কী ড্রাই ফ্রুট রাখা যেতে পারে (You can eat this dry fruit to lose weight quickly)?
আমন্ড: বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে আমন্ড খুবই সহায়ক । এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ । ফলস্বরূপ এটি খেলে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা অনুভব করেন । তাড়াতাড়ি খিদে পায় না । এটি ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে । তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের ব্রেকফাস্টে আমন্ড যোগ করা উচিত ।
'ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি' (International Journal of Obesity)-তে প্রকাশিত 2003 সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, যারা ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন 50 গ্রাম আমন্ড খেয়েছেন তাদের শরীরের ওজন 1.36 পাউন্ড (0.62 কেজি) কমেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ডাঃ জোয়েল নিউম্যান এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন । তিনি বলেন, "আমন্ডের পুষ্টিগুণ ওজন কমাতে খুবই সহায়ক ।"
কিশমিশ: বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও বড় ভূমিকা রাখে । কিশমিশ প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ । এগুলি সবই ওজন কমাতে খুবই সহায়ক । কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
আখরোট: ব্রেকফাস্টে আখরোট ওজন কমাতেও সাহায্য করে ৷ এগুলি ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলি বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে এবং ওজন হ্রাসে সহায়তা করে ।
খেজুর: খেজুর ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। ফলে বিশেষজ্ঞরা জানান, ব্রেকফাস্টে এগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে স্বাস্থ্যের উপকার পাওয়া যায় । বিশেষ করে খেজুরে থাকা ফাইবার সুস্থ শরীর গঠনে সহায়ক। এতে বেশি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় । তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের এটি গ্রহণ করা উচিত ৷
কাজু: এতে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে । বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার তাগিদ কমাতে খুবই সহায়ক ।