হায়দরাবাদ: ডিম পুষ্টিগুণে ভরপুর ৷ রোগ প্রতিরোধ বাড়ানো থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা জুরি মেলা ভার ৷ পুষ্টিবিদরা নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ৷ কোন বয়সে কতটা ডিম খাওয়া প্রয়োজন তার খোঁজ দিলেন পুষ্টিবিদ (Egg Benefits Foe Health) ৷
তিনি বলেন, ডিম নিয়ে মতভেদ প্রচুর পরিমাণে হয় ৷ কার জন্য কতটা খাওয়া দরকার এরজন্য ভিন্ন মতভেদ রয়েছে ৷ যে শিশুরা খাওয়া শুরু করছে মানে ছয় মাসের পর থেকে তাদের জন্য ডিমের হাফ কুসুম শুরু করতে বলার পরামর্শ দেওয়া দয় ৷ কারণ এই ডিমের কুসুমের মধ্যে যে ভিটামিনগুলি থাকে যেমন ভিটামিন এ, ডি, ই, কে যেগুলি ফ্য়াট অলিভল হিসাবে কাজ করে এছাড়াও এরমধ্য়ে থাকে ডি এইচ এ যেটি শিশুর ব্রেন ডেভেলপ করতে সাহায্য় করে ৷ সেক্ষেত্রে এই সেদ্ধ ডিম খেতে বলা হয়ে থাকে কোনও অমলেট হিসাবে নয় ৷
এবার স্কুল যাওয়ার সময় হলে সেক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে একটা করে সেদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ যা থেকে 6 থেকে 7 গ্রাম প্রোটিন ও 7 থেকে 8 গ্রাম ফ্যাট পাওয়া যায় ৷ শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশ থেকে 3.5 থেকে 4 গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় ৷ এতে যতগুলি অ্যামািনো অ্যাসিড থাকা দরকার সেগুলি আছে ৷ ডিমের কুসুম বা সাদা অংশ রয়েছে অ্যালবুমিন যারফলে দু'টোই সহজপাচ্য যা খেয়ে হজম করা সহজ ৷ এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য় ভীষণভাবে উপকারী ৷
তিনি বলেন, অনেকে বলেন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় ৷ এটা ভুল ধারনা হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ এতে থাকা ডায়েটারি কোলেস্টেরল ব্লাড কোলেস্টেরলের সঙ্গে খুব কম পরিমাণে থাকে ৷ সারাদিনের যে কোলেস্টেরলের চাহিদা থাকে সেই চাহিদা একটা ডিম খেলে মেটাতে পারে ৷ আগে থেকেই যাদের ডিসলিপিডিমিয়া আছে তাদের এটা রেস্ট্রিক করার পরামর্শ দেন ৷ সেখানে তারা কটা করে ডিম খেতে পারবেন সেক্ষেত্রে ব্লাড রিপোর্ট দেখেই বলা হয়ে থাকে ৷
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের ব্লাড সুগারের পরিমাণ দেখেই কটা ডিম খেতে পারবেন তার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ এটি ব্যক্তি বিশেষে আলাদা আলাদা হয় ৷ যারা জিম করছেন তাদের ক্ষেত্রেও ডিম খাওয়া প্রয়োজন ৷ সেই ব্যক্তির উচ্চতা, ওজন কতটা পরিমাপ দেখেই ঠিক করা হয় সেই ব্যক্তি কটা ডিম খেতে পারবেন ৷
50 বছরের উর্দ্ধের বিশেষকরে মহিলারা যারা ক্যালসিয়েমের অভাবে ভোগেন ও যাদের হিমোগ্লোবিনের সমস্য়া ডিম তাদের জন্য ভালো প্রোটিন হিসাবে কাজ করে ৷ যারজন্য তাদের প্রত্যেক দিন একটা করে ডিম খাওয়া ভালো হবে ৷
আরও পড়ুন: