ETV Bharat / entertainment

শিশুদের দেওয়া হোক 'গুড টাচ-ব্যাড টাচ' শিক্ষা, গল্পের মাধ্যমে বার্তা 'দ্বিতীয় বসন্ত'র - Good Touch Bad Touch Education

Good Touch Bad Touch Education on Serial: বিনোদনের পর্দায় শিক্ষনীয় নানা অনুষ্ঠান দর্শকদের আকৃষ্ট করে ৷ এবার পর্দায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার পাঠ দিতে চলেছে 'দ্বিতীয় বসন্ত' ধারাবাহিক টিম ৷

Good Touch Bad Touch Education on Serial
ধারাবাহিকে 'গুড টাচ ব্যাড টাচ' শিক্ষা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Aug 22, 2024, 5:56 PM IST

কলকাতা, 22 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ সমাজ। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ তথা দেশের বাইরে জনগণের এখন একটাই দাবি 'বিচার চাই'। এমন এক অশান্ত সময়ে বাংলা টেলিভিশনের 'দ্বিতীয় বসন্ত' ধারাবাহিকের অন্দরমহলেও যেন প্রতিবাদেরই এক সুর। বাস্তবের কঠিন সমস্যা সমাধানে তারাও সামিল। ধারাবাহিকের গল্পের মাধ্যমে নতুন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা পরিচালক ও কলাকুশলীদের। 'শৈশব থেকেই শেখানো হোক প্রতিবাদের ভাষা'- বাস্তব পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে ধারাবাহিক 'দ্বিতীয় বসন্ত'- উঠে এল শিক্ষনীয় বার্তা ।

আগে জেনে নেওয়া যাক, এই ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট

গল্পে দেখা যাবে জাগৃতি-অনিরুদ্ধর মেয়ে মিহি যে স্কুলে পড়ে, সেই স্কুলেরই এক শিক্ষকের কুনজরে পড়ে ছোট্ট মিহি। ছোট্ট মিহির গায়ে পিটি টিচারের 'অন্যরকম' স্পর্শে' কুঁকরে যায় ছোট্ট মিহি। রাতে নানারকম দুঃস্বপ্নও দেখে। ছোট্ট মিহির আচরণ বদলে যায়, সব সময় একটা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে। জাগৃতি ব্যাপারটা লক্ষ্য করে, মিহির কাছে সব জানতে চায়। সবকিছু জানার পর পিটি টিচারকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে ৷ এরপরেই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয় আসল বার্তা যেখানে মিহির মা জাগৃতি স্কুল কর্তৃপক্ষকে 'গুড টাচ, ব্যাড টাচ' নিয়ে আলাদা করে সেশন শুরু করার আর্জি জানান।

ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ জাগৃতি অর্থাৎ সোহিনী গুহ রায়ের কথায়, "শৈশব থেকেই শেখানো হোক প্রতিবাদের ভাষা। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে ছোটবেলা থেকেই তাদের সজাগ করে দেওয়া উচিত। বাচ্চারা হোম ওয়ার্ক করল কি না, খেল কি না, এইটুকু শুধু জানলে মা-বাবাদের হবে না ৷ মা-বাবাকে বন্ধুর মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে হবে, যাতে তারা খোলাখুলিভাবে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে। শুরুটা বাড়ি থেকেই করতে হবে।"

অনিরুদ্ধ অর্থাৎ রাজদীপের কথায়, "একটা বাচ্চা মেয়েকে যেমন গুড টাচ-ব্যাড টাচ শেখানো উচিত, একটা বাচ্চা ছেলেকেও মেয়েদের কীভাবে সম্মান করবে সেটা ছোট থেকে শেখানো উচিত। মা-বাবাকে বন্ধুর মতো মিশতে হবে বাচ্চাদের সঙ্গে।" বাস্তবের প্রতিচ্ছবিকে যেন সাক্ষী রেখেই ধারাবাহিকের গল্পে সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে চেয়েছেন নির্মাতারা। বাস্তব সমস্যা সমাধানের গভীরে গিয়ে নোঙর ফেলেছে 'দ্বিতীয় বসন্ত"। সবার মিলিত প্রয়াসে সমাজ সত্যি সত্যি পালটাবে কি না, তা সময় বলবে।

কলকাতা, 22 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ সমাজ। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ তথা দেশের বাইরে জনগণের এখন একটাই দাবি 'বিচার চাই'। এমন এক অশান্ত সময়ে বাংলা টেলিভিশনের 'দ্বিতীয় বসন্ত' ধারাবাহিকের অন্দরমহলেও যেন প্রতিবাদেরই এক সুর। বাস্তবের কঠিন সমস্যা সমাধানে তারাও সামিল। ধারাবাহিকের গল্পের মাধ্যমে নতুন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা পরিচালক ও কলাকুশলীদের। 'শৈশব থেকেই শেখানো হোক প্রতিবাদের ভাষা'- বাস্তব পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে ধারাবাহিক 'দ্বিতীয় বসন্ত'- উঠে এল শিক্ষনীয় বার্তা ।

আগে জেনে নেওয়া যাক, এই ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট

গল্পে দেখা যাবে জাগৃতি-অনিরুদ্ধর মেয়ে মিহি যে স্কুলে পড়ে, সেই স্কুলেরই এক শিক্ষকের কুনজরে পড়ে ছোট্ট মিহি। ছোট্ট মিহির গায়ে পিটি টিচারের 'অন্যরকম' স্পর্শে' কুঁকরে যায় ছোট্ট মিহি। রাতে নানারকম দুঃস্বপ্নও দেখে। ছোট্ট মিহির আচরণ বদলে যায়, সব সময় একটা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে। জাগৃতি ব্যাপারটা লক্ষ্য করে, মিহির কাছে সব জানতে চায়। সবকিছু জানার পর পিটি টিচারকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে ৷ এরপরেই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয় আসল বার্তা যেখানে মিহির মা জাগৃতি স্কুল কর্তৃপক্ষকে 'গুড টাচ, ব্যাড টাচ' নিয়ে আলাদা করে সেশন শুরু করার আর্জি জানান।

ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ জাগৃতি অর্থাৎ সোহিনী গুহ রায়ের কথায়, "শৈশব থেকেই শেখানো হোক প্রতিবাদের ভাষা। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে ছোটবেলা থেকেই তাদের সজাগ করে দেওয়া উচিত। বাচ্চারা হোম ওয়ার্ক করল কি না, খেল কি না, এইটুকু শুধু জানলে মা-বাবাদের হবে না ৷ মা-বাবাকে বন্ধুর মতো বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে হবে, যাতে তারা খোলাখুলিভাবে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে। শুরুটা বাড়ি থেকেই করতে হবে।"

অনিরুদ্ধ অর্থাৎ রাজদীপের কথায়, "একটা বাচ্চা মেয়েকে যেমন গুড টাচ-ব্যাড টাচ শেখানো উচিত, একটা বাচ্চা ছেলেকেও মেয়েদের কীভাবে সম্মান করবে সেটা ছোট থেকে শেখানো উচিত। মা-বাবাকে বন্ধুর মতো মিশতে হবে বাচ্চাদের সঙ্গে।" বাস্তবের প্রতিচ্ছবিকে যেন সাক্ষী রেখেই ধারাবাহিকের গল্পে সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে চেয়েছেন নির্মাতারা। বাস্তব সমস্যা সমাধানের গভীরে গিয়ে নোঙর ফেলেছে 'দ্বিতীয় বসন্ত"। সবার মিলিত প্রয়াসে সমাজ সত্যি সত্যি পালটাবে কি না, তা সময় বলবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.