হায়দরাবাদ, 2 অগস্ট: বিড়লা সভাঘর, মধুসূদন মঞ্চ, নন্দন 3 ও ইউনিভার্সি ইন্সটিটিউটে বসেছিল নাটকের আসর ৷ 22 তারিখ থেকে 30 জুলাই পর্যন্ত সুজন মুখোপাধ্যায়ের 50তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে ৷ যাঁরা না থাকলে বিশাল এই কর্মকাণ্ড সফল হত না তাঁদের ছবি দিয়ে ধন্যবাদ জানালেন অভিনেতা-নাট্যকার সুজন নীল ৷ পাশাপাশি 'গোদের উপর বিষফোঁড়া' র মতো চেপে বসা সব নিয়ম ও অনুশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মানুষের ভালোবাসার জয় নিয়ে আত্মহারা অভিনেতা ৷
সোশাল মাধ্যমে সুজন লেখেন, "দু'দিন হল শেষ হয়েছে মহাযজ্ঞ। চেতনা 50-এর উৎসবের থেকেও এই উৎসবের ঝামেলা ছিল অনেক অনেক বেশি। একে সাতদিনে 9টি নাটক, তার মধ্যে একটি ছোটদের নিয়ে নতুন নাটক এবং তার সঙ্গে দু'দিনে 4টি সিনেমা। 4টি লোকেশন.. সব মিলিয়ে মাথা খারাপ হবার উপাদান ভরপুর। তার মধ্যে 'গোদের উপর বিষফোঁড়া'র মতো চেপে বসল নতুন সরকারী নিয়মের নিদান, যা আমাদের জানা ছিল না এবং জুলাই মাস থেকেই তা বলবৎ হবে, কেউ সেটা জানাননি ৷ অথচ আমরা চিঠি দিয়ে উৎসবের আবেদন জানিয়েছিলাম এপ্রিল মাসে বা তারও আগে। বহু আবেদন স্বত্ত্বেও, শত অনুরোধ করেও এই নতুন নিয়ম 'রক্তকরবী'র রাজার মতো আমাদের গিলে খেল.. ( প্রসঙ্গত, সিনেমা ও টেলিভিশন শিল্পের ওপর ক'দিন ধরে চলা অবিচারটাও ঐ 'চলো, নিয়ম মতে'র একটা বীভৎস সমীকরণ, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়)।"
অভিনেতা এরপর লেখেন, "চেতনা বাধ্য হল, তাদের নির্ধারিত সূচী বদলাতে, যদিও প্রকাশিত তালিকায় নাটকের উৎসব মনোনীত ছিল ৷ আমরা শিকার হলাম নতুন নিয়মের বা বলা যায় কোণঠাসা হলাম। এত বাধা অতিক্রম করেও নাট্যপ্রেমী অসংখ্য মানুষ এই উৎসব সফল করলেন। হয়তো কিছু আর্থিক ক্ষতি হল ৷ কিন্তু সেটা নগন্য মানুষের ভালোবাসার কাছে। এত মানুষ এলেন শুধুমাত্র নাটকের টানে। তাই, এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যাঁরা আমাকে ও চেতনাকে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানালেন, তাঁদের নতমস্তকে ধন্যবাদ জানাই। "
এরপর নীল কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রান্ট বাতিল হবার নিন্দা করেন ৷ নাম না নিয়ে তিনি লেখেন, "আপনি এতদিন 20 লক্ষের বেশি গ্রান্ট পেতেন, তা আপনার উৎসবে চেতনার নাটকের জন্য একটু বেশি টাকা চাইলে, ধমকে দিলেন কেন?যেখানে আপনি চেতনার নাটক থেকে 1 লক্ষের বেশি আয় করছেন, বিক্রি বাবদ! গ্রান্ট ছাড়াই আমরা লড়ে গিয়েছি 2015 থেকে মানুষের বদ্যানতায় ও নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রমে। এবারের উৎসবে পোস্টারে আমার মুখ থাকলেও, আমি নিমিত্ত মাত্র.. আমার দল আসল।" এরপর অভিনেতা নীল স্ত্রী নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷ ধন্যবাদ জানিয়েছেন চেতনার সম্পাদক 72 বছর বয়সী অমিতাভ ঘোষ-সহ আরও অনেককে ৷