কলকাতা, 28 জুলাই: নিজের জন্মদিন শহরবাসীকে নিয়ে পালনে ব্যস্ত নাট্যব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা সুজন নীল মুখোপাধ্যায় ৷ গত 22 তারিখ ছিল নীলের 50তম জন্মদিন ৷ বিশেষ দিনটাকে নীলের নাট্যগ্রুপ 'চেতনা' উদযাপন করছে অন্যরকমভাবে ৷ চলছে নাট্যউৎসব 'বহুরূপে... ইতি সুজন' ৷ থিয়েটার যাঁরা ভালোবাসেন তাঁরা ইতিমধ্যেই নানা শো দেখতে টিকিট বুকিং করতে শুরু করে দিয়েছেন ৷ চেতনার এই প্রয়াস ও দর্শকদের ভালোবাসায় আপ্লুত নীল মুখোপাধ্যায় ৷ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ইটিভি ভারতের সঙ্গে ৷
তিনি বলেন, "এই প্রয়াসে খুশি হওয়ারই কথা ৷ এতটা সাড়া পাব মানুষের, সত্যিই ভাবিনি ৷ সবথেকে বড় কথা থিয়েটারের উদযাপন হচ্ছে, এটাই আনন্দের ৷" ওটিটি আসাতে কি নাটকের উপরে কোনও প্রভাব পড়েছে ? নীল বলেন, "না ৷ একেবারেই না ৷ ওটিটি বা সিনেমা দেখা আর নাটকের জীবন্ত পারফরম্যান্স দেখার মধ্যে পার্থক্য আছে ৷ তার অন্য রস, গন্ধ, স্পর্শ রয়েছে ৷ যা কোনওদিন ওটিটি বা সিনেমা বদলাতে পারবে না ৷"
1972 সালে নীলের বাবা অরুণ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৈরি হয় নাট্যদল চেতনা ৷ সেই সময় 'মারীচ সংবাদ' থেকে শুরু করে নীলের নির্দেশনায় 'ডন- তাকে ভালো লাগে', 'ঘাসীরাম কোতোয়াল' কিংবা অবন্তী চক্রবর্তী নির্দেশিত 'বিনোদিনী অপেরা', নীল মুখোপাধ্যায়ের 'মহাত্মা গান্ধী', দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত 'ব্রেন', অরুণ মুখোপাধ্যায়ের 'হারানের নাতজামাই'-প্রতিটি নাটক আজও জনপ্রিয় দর্শক দরবারে ৷ নীল মুখোপাধ্যায়ের পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্রে রেখে প্রতিটি নাটকই মঞ্চস্থ হচ্ছে ৷
22 তারিখ থেকেই নানা স্বাদের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে কলকাতার মধুসূদন মঞ্চ, বিড়লা সভাঘর, নন্দন 3, ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট-এ। চলবে 28 জুলাই পর্যন্ত। এর মধ্যে 29 ও 30 জুলাই দেখানো হবে নীল মুখোপাধ্যায় অভিনীত ছবি 'বুমেরাং', 'ঘেঁটে ঘ', 'তিন ইয়ারি কথা', 'ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা' ও 'বড়বাবু'-র ট্রেলার। আসলে নাট্যজগতে নীল মুখোপাধ্যায় এক প্রতিষ্ঠিত নাম। তবে, নিজেকে শুধুমাত্র মঞ্চে বেঁধে রাখেননি তিনি। সিনেমা এবং বাংলা ধারাবাহিক- সব ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ তাঁর। এই পুজোতে মুক্তি পাবে নীল অভিনীত বাংলা ছবি 'বহুরূপী' ৷ যেখানে অন্যরকম ভূমিকায় সুজন নীল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন পর্দার দর্শকরা ৷