ETV Bharat / entertainment

যৌন হেনস্তার শিকার, পুলিশের দ্বারস্থ অভিনেত্রী - Srilekha Mitra

author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Aug 27, 2024, 12:20 PM IST

Sreelekha Mitra files Police complaint against Ranjith:যৌন হেনস্তার শিকার শ্রীলেখা মিত্র ৷ মালয়লম পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী ৷ ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷

Sreelekha Mitra files Police complaint against Ranjith
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের শ্রীলেখার (সোশাল মিডিয়া)

হায়দরাবাদ, 27অগস্ট: ন্যায় পেতে চলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ৷ কোচিতে একটি সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী ৷ অভিযুক্ত পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শ্রীলেখার অভিযোগের ভিত্তিতে এর্নাকুলাম উত্তর পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানান অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন যে রঞ্জিত পরিচালিত 'পালেরি মানিক্যম' সিনেমা সম্পর্কিত আলোচনার জন্য তাঁকে ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাঁকে নির্যাতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু অভিযোগকারিনী বাংলার বাসিন্দা ছিলেন তাই, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 354 এবং 354 বি ধারার অধীনে মামলা রুজু করা যায়নি সেই সময়। অভিযুক্ত রঞ্জিত ফিল্ম অ্যাকাডেমির পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। ই-মেল মারফত অভিযোগ আসার পরেই রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কোচি পুলিশ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আগেই ইটিভি ভারতরের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শ্রীলেখার সঙ্গে ৷ তিনি 2009 সালে ঘটে যাওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ারও করেন ৷ তিনি বলেন, "2009 সালে আমাকে এখান থেকে মিস্টার জোশি যোশেফ নামে একজন যোগাযোগ করেন যে একটা মালয়ালম ছবি হচ্ছে, ওরা তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন আমার স্বামীর সঙ্গে আমার সমস্যা চলছে। একইসঙ্গে তখন 'বন্ধন' সিরিয়াল করছি। এই কাজটা এল। আমি সব নিয়ে পৌঁছলাম। ফাইভস্টার সুইট দেওয়া হল। সেদিনই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি পাঠানো হল। আমি গেলাম। দেখা করলাম। হ্যান্ডসাম, ইয়ং ডিরেক্টর। কয়েকটা শ্যুট হল। সন্ধেতে ডাকা হল। বলা হল প্রোডিউসাররা আসবে। ছোট্ট একটা গ্যাদারিং হবে। পৌঁছলাম।"

অভিনেত্রী আরও বলেন, "অনেকে এখন আমাকে মদ্যপ প্রমাণ করতে চাইছে। কিন্তু আমার বাড়িতে একটাও মদের বোতল পাবে না। সিনেমাটোগ্রাফার বেনু গোপালের সঙ্গে ডিরেক্টরের কথা হচ্ছিল। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবির সূত্রে বেণু গোপাল দা'র সঙ্গে কাজ করেছি আমি। পরিচালক আমাকে বললেন, বেণু গোপাল জি'র সঙ্গে কথা বলবেন? আমিও ফোনটা নিলাম। ব্যালকনিতে গিয়ে কথা বলছি। পরিচালক আমার চুরি নিয়ে খেলতে শুরু করলেন। আমি ভাবলাম হয়ত আমি একটু বেশিই চিন্তা করছি। কিন্তু অস্বস্তি হচ্ছিল। পরে গলার কাছে সুড়সুড়ি দেন। তখন আমি ফোনটা ওঁর হাতে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ওর পরের একজনকে বলি আমি আর কাজটা করব না ৷"

আরজি কর ঘটনার পর মেয়েদের নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার দাবিতে সোচ্চার সকলেই ৷ এমনকী, টলিউডেও যে অভিনেত্রীরা নিরাপদ নন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী থেকে আরও অনেকে ৷

হায়দরাবাদ, 27অগস্ট: ন্যায় পেতে চলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ৷ কোচিতে একটি সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী ৷ অভিযুক্ত পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শ্রীলেখার অভিযোগের ভিত্তিতে এর্নাকুলাম উত্তর পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। কোচি সিটি পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানান অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন যে রঞ্জিত পরিচালিত 'পালেরি মানিক্যম' সিনেমা সম্পর্কিত আলোচনার জন্য তাঁকে ফ্ল্যাটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাঁকে নির্যাতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু অভিযোগকারিনী বাংলার বাসিন্দা ছিলেন তাই, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 354 এবং 354 বি ধারার অধীনে মামলা রুজু করা যায়নি সেই সময়। অভিযুক্ত রঞ্জিত ফিল্ম অ্যাকাডেমির পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। ই-মেল মারফত অভিযোগ আসার পরেই রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কোচি পুলিশ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আগেই ইটিভি ভারতরের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শ্রীলেখার সঙ্গে ৷ তিনি 2009 সালে ঘটে যাওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ারও করেন ৷ তিনি বলেন, "2009 সালে আমাকে এখান থেকে মিস্টার জোশি যোশেফ নামে একজন যোগাযোগ করেন যে একটা মালয়ালম ছবি হচ্ছে, ওরা তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন আমার স্বামীর সঙ্গে আমার সমস্যা চলছে। একইসঙ্গে তখন 'বন্ধন' সিরিয়াল করছি। এই কাজটা এল। আমি সব নিয়ে পৌঁছলাম। ফাইভস্টার সুইট দেওয়া হল। সেদিনই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি পাঠানো হল। আমি গেলাম। দেখা করলাম। হ্যান্ডসাম, ইয়ং ডিরেক্টর। কয়েকটা শ্যুট হল। সন্ধেতে ডাকা হল। বলা হল প্রোডিউসাররা আসবে। ছোট্ট একটা গ্যাদারিং হবে। পৌঁছলাম।"

অভিনেত্রী আরও বলেন, "অনেকে এখন আমাকে মদ্যপ প্রমাণ করতে চাইছে। কিন্তু আমার বাড়িতে একটাও মদের বোতল পাবে না। সিনেমাটোগ্রাফার বেনু গোপালের সঙ্গে ডিরেক্টরের কথা হচ্ছিল। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবির সূত্রে বেণু গোপাল দা'র সঙ্গে কাজ করেছি আমি। পরিচালক আমাকে বললেন, বেণু গোপাল জি'র সঙ্গে কথা বলবেন? আমিও ফোনটা নিলাম। ব্যালকনিতে গিয়ে কথা বলছি। পরিচালক আমার চুরি নিয়ে খেলতে শুরু করলেন। আমি ভাবলাম হয়ত আমি একটু বেশিই চিন্তা করছি। কিন্তু অস্বস্তি হচ্ছিল। পরে গলার কাছে সুড়সুড়ি দেন। তখন আমি ফোনটা ওঁর হাতে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ওর পরের একজনকে বলি আমি আর কাজটা করব না ৷"

আরজি কর ঘটনার পর মেয়েদের নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার দাবিতে সোচ্চার সকলেই ৷ এমনকী, টলিউডেও যে অভিনেত্রীরা নিরাপদ নন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী থেকে আরও অনেকে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.