হায়দরাবাদ, 24 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে রাজ্য তথা দেশবাসীর আশা ন্যায় মিলবে ৷ কিন্তু বিচার ব্যবস্থার ধীরগতির জন্য অনেক সময়ই পর্দার তারকারা হতাশা প্রকাশ করেছেন ৷ অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি ঘুমোতে পারছেন না ৷ তিলোত্তমা কবে বিচার পাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন ৷ একই অবস্থা অভিনেত্রী শ্রুতি দাসেরও ৷ বাড়িতে ছেলে সন্তানদের কেমন শিক্ষা দেওয়া উচিত সেই বিষয়ে মুখ খোলেন 'রাঙা বউ' অভিনেত্রী ৷ পাশাপাশি, তিলোত্তমার স্বপ্ন ভাঙার কথাও তুলে ধরেন সোশাল মিডিয়ায় ৷
শনিবার শ্রুতি দাস আরজি করের মৃত পড়ুয়া ডাক্তারকে নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ৷ তাঁর সাজানো সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন কীভাবে ভেঙে গেল, তা কল্পনা করতেই ভয়ে কেঁপে উঠছেন অভিনেত্রী ৷ তিনি লেখেন, "যে মেয়েটার নভেম্বরে বিয়ে, তার কিন্তু মেকাপ আর্টিস্ট, মেহেন্দি আর্টিস্ট ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল ৷ তত্ত্বের জিনিস কেনা হয়ে গিয়েছিল ৷ ফোটোগ্রাফার ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল ৷ ব্যাংকুয়েট বুক করা হয়ে গিয়েছিল। একমাত্র মেয়েটা বাবা-মাকে ছেড়ে কি করে থাকবে হয়তো পেশেন্ট দেখার ফাঁকে ফাঁকেও ভেবে চলতো। হয়তো সেই রাতে মা কে ঘুমাতে বলেও ভেবেছে বিয়ের পর সবদিক সামলাতে পারবে তো এভাবেই !"
শ্রুতি লেখেন, "বেনারসিটা হয়তো কেনা বাকি ছিল ৷ আর দিন রাত হবু বরের মাথা খেতো নাকে যেন সিঁদুর পরে ৷ নাহলে কিন্তু ছবি ভালো আসবে না। বা হয়তো হানিমুনের টিকিট হয়ে গিয়েছিল তাঁদের পছন্দের পাহাড়ে যাবে নাকি সমুদ্রে নাকি পশু ঘেরা জঙ্গলে! পাগলিটা বোঝেনি এখানে দানব থাকে দানব!! এখানে মানুষ মানুষকে ছিঁড়েখুঁড়ে খায় ৷ সঙ্গে তার স্বপ্ন গুলোও গিলে নেয়! ঘুম হচ্ছে? আমার হচ্ছে না !!"
এদিকে, শুক্রবারও শ্রুতি একটু যুক্তপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেন ৷ সেই পোস্ট আসলে অদিতি রায় নামে এক 10 বছরের ছেলে সন্তানের মায়ের লেখা বলে সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ সেই পোস্টে পয়েন্ট করে দেখানো হয়েছে, বাড়িতে ছেলে সন্তানকে কোন কোন বিষয় মাথায় রেখে মানুষ করা উচিত বা শিক্ষা দেওয়া উচিত ৷ যাতে আগামী দিনে মেয়েদের জন্য মোমবাতি নয় সুস্থ সমাজ উপহার দেওয়া যেতে পারে ৷ সেই পোস্টও শেয়ার করেন শ্রুতি ৷
কী লেখা সেই পোস্টে...
ছেলের মায়েদের বলছি যাদের বয়স পাঁচ পেরিয়েছে...
1)এখন থেকেই ছেলেকে বাড়িতে জামা পরানো অভ্যাস করুন। তা সে যতই গরম লাগুক খালি গায়ে ঘুরতে দেবেন না। অন্তত একটা স্যান্ডো গেঞ্জি হলেও পরতে হবে।
2) রাস্তায় যত্রতত্র প্যান্টের চেইন খুলে টয়লেট করতে এলাও করবেন না। এইটা লজ্জার সেটা জানান।
3) যখন-তখন প্যান্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে প্রাইভেট পার্ট নিয়ে খেলতে দেবেন না। চুলকানি অস্বস্তি কিছু হলে সেটা বাথরুমে গিয়ে চেক করতে বলুন। প্রয়োজনে আপনিও যান সঙ্গে।
4) নিজেকে আপাদমস্তক শাড়ি বা নাইটিতে না ঢেকে রেখে পারলে চেষ্টা করুন ঘরে আপনিও টি-শার্ট আর শর্টস পরতে। আপনার ছেলের চোখে এই পোশাকটা গা সওয়া হয়ে যাবে। বড় হয়ে রাস্তাঘাটে এরম পোশাক দেখলে নতুন করে আর উত্তেজনা তৈরি হবে না।
5) ছেলের দশ বছর বয়স হলে মেয়েদের পিরিয়ডস-এর ব্যাপারটা তাকে জানান। পিরিয়ড হওয়ার কারণ কি? হলে কি কি কষ্ট হয়, না হলে কি কি কষ্ট হয় সবটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বোঝান। সময় বিশেষে কখনও তাকে ওষুধের দোকানে পাঠান প্যাড কিনে আনার জন্য। পরে এইটা নিয়ে কোন আলাদা স্টিগমা কাজ করবে না।
6) আপনার রোজকার ঘরের কাজে তাকে সহযোগিতা করতে বলুন। এটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলেরই শেখা উচিত।
7) অন্তর্বাস কেন পরেন সেটা ছেলেকে জানান এবং সঙ্গে এটাও বলে রাখুন ব্রা ট্র্যাপ বেরিয়ে গেলে যেন সে ঠিক করে দেয়।
8) কোন ঘটনায় ছেলে ইমোশনাল হয়ে পড়লে তাকে কাঁদতে দিন। একটু বেশি কাঁদলে কেউ মেয়ে হয়ে যায় না, আর মেয়েরা কম কাঁদলে ছেলে হয়ে যায় না।