কলকাতা, 7 জানুয়ারি: তখন পড়েন ক্লাস নাইনে ৷ প্রথম ছবিতেই সুযোগ পান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার ৷ মুক্তির পর সেই ছবি হিট ৷ লোকের মুখে মুখে ফিরতে থাকে 'মন মানে না' ছবির গান ৷ এর তিন বছর পর আবারও সেই রূপোলি পর্দায় জুটি বাঁধেন প্রসেনজিতের সঙ্গে ৷ তারপর আচমকাই অন্তরালে চলে যান অভিনেত্রী শিল্পা ভট্টাচার্য ৷ 30 বছর পর তিনি ফিরতে চাইছেন সিনেপর্দায় ৷ কেমন আছেন সেই অভিনেত্রী ? খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷
1992 সালে 'মন মানে না' এবং 1995-তে 'ভালোবাসা'- এই দুটি ছবি করার পরই সিনে দুনিয়ার অন্তরালে চলে যান অভিনেত্রী শিল্পা। তিনি সেইসময় স্কুল ছাত্রী। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ফিল্মি কেরিয়ারে কনিষ্ঠতম নায়িকা বললেও ভুল হবে না তাঁকে। অভিনেত্রী শিল্পা ভট্টাচার্য ইটিভি ভারতকে বলেন, "বুম্বা দা আমাকে ছুটকি বলে ডাকতেন। আমি এতটাই ছোট তখন। আমার মনে হয় আমার থেকে ছোট নায়িকা উনি পাননি কখনও। 'মন মানে না'র সময় আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।"
কীভাবে এল সিনেমায় কাজ করার সুযোগ ? অভিনেত্রীর কথা থেকে জানা যায়, পরিচালক ইন্দর সেন তাঁদের বাড়িতে আসেন একদিন। 'মন মানে না' ছবির জন্য শিল্পার বাবার কাছে চেয়ে বসেন তাঁর মেয়েকে। কিন্তু বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে তখন লেখাপড়া করুক মন দিয়ে। ওদিকে পরিচালকও নাছোড়বান্দা। অভিনেত্রীর বাবার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ছেড়েছিলেন। হিট হয় সেই ছবি।
এরপর শমিত ভঞ্জর পরিচালনায় 'ভালোবাসা' ছবিতেও দেখা যায় তাঁকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে। সেই শেষ। এরপর ছবির প্রস্তাব এলেও বাড়ি থেকে অনুমতি মেলেনি। বাবা চেয়েছিলেন পড়াশুনা শেষ করে তারপর যা করার করতে হবে ৷ ফলে, ধীরে ধীরে অন্তরালেই চলে যান তিনি। নিজেও আর চেষ্টা করেননি। তবে, এখন আবার অভিনয়ে ফিরতে চান শিল্পা। কাজ করতে আগ্রহী রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। যে চরিত্রে তাঁর গুরুত্ব থাকবে সেরকম চরিত্রই করতে চান তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করার ইচ্ছা আছে তাঁর। অভিনেত্রী বলেন, " 'মন মানে না'তে অভিনয়ের সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে বা তাঁর জনপ্রিয়তা সম্বন্ধে আমার কোনও জ্ঞানই ছিল না। অনেক পরে বুঝেছি মানুষটা আসলে 'কে'।"
প্রসঙ্গত, কেউ বলেন, শিল্পা ভট্টাচার্য নাকি অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়া, কেউ বা বলেন তিনি অভিনেত্রী ঋতু দাসের বোন। এই কথার সত্যতা জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, "দুজনের মধ্যে একজনের সঙ্গেও আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি মিঠু মুখোপাধ্যায়ের বোনঝিও নই আর ঋতু দাসের বোনও নই। আমার পরিবারের কেউ কখনও অভিনয় করেনি। এত ভুল খবর কেন ছড়াচ্ছে বুঝতে পারছি না।"