ETV Bharat / entertainment

'আপনি থেকে তুমি হতে বেশিক্ষণ লাগেনি...' শর্মিলা-সোহার সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধ কলকাতার ডিজাইনার সন্দীপ - Sharmila jewellery advt with Soha

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 1, 2024, 8:21 PM IST

Jewellery Advertisement of Sharmila-Soha: শর্মিলা ঠাকুর ও সোহা আলির খানের একটি বিজ্ঞাপনের বেশ কিছু মুহূর্ত এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে নেটপাড়ায় ৷ মা-মেয়েকে এইভাবে দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা ৷ কিন্তু তাঁদের সাজানোর পিছনে রয়েছেন কলকাতার ছেলে ৷ কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা, ইটিভি ভারতকে জানালেন ডিজাইনার সন্দীপ জয়সওয়াল ৷

Jewellery Advertisement of Sharmila-Soha
শর্মিলা ঠাকুর ও সোহা আলির খান (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 1 জুলাই: বাংলার গুণীদের দক্ষিণ, পশ্চিম জয় করে আসার ঘটনা নতুন নয় । তা সে অভিনেতা হোক বা গায়ক । বেশ অনেক বছর ধরে বাংলার স্টাইলিস্ট এবং ডিজাইনারদের উপরেও ভরসা রাখতে শুরু করেছে ভিন রাজ্যের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি । সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটের জন্য নবাব পত্নী শর্মিলা ঠাকুর এবং নবাব নন্দিনী সোহা আলি খানকে সাজানো বাংলার প্রথম সারির স্টাইলিস্ট সন্দীপ জয়সওয়াল । রবিবারই ফিরেছেন তিলোত্তমায় ৷ সোহা-শর্মিলার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ইটিভি ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ডিজাইনার সন্দীপ ৷

ইটিভি ভারত: কেমন ছিল নবাব ঘরণী শর্মিলা ঠাকুর এবং নবাব নন্দিনীকে সাজানোর অভিজ্ঞতা ?

সন্দীপ: দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হল । প্রথমে সোহার সঙ্গে দেখা হয় । আগে সেটা বলি । এখনও একটা ঘোরের মধ্যে আছি আমি । প্রথম দিন যখন সোহার বাড়িতে পোশাকের মাপ নিতে গিয়েছিলাম সেদিন পনেরো-কুড়ি মিনিট আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম । আমায় দেখে বলেন, উপরে চলে এসো । অসম্ভব সুন্দর সাজানো একটা বাড়ি । সেটা তো একটা অন্যদিক, তবে সোহার আতিথেয়তা আর আপ্যায়ণ দেখে আমি মুগ্ধ । মনেই হয়নি এই প্রথম দেখা । দ্বিতীয় দিন ট্রায়াল করাতে গেলাম । সেদিন আমার বানানো ড্রেসের ফিটিংস ভালো হওয়ায় খুব খুশি হয় সোহা । কালার প্যালেটও ওঁর খুব পছন্দ হয় । দেখতে চাননি অন্য আর একটাও ।

ইটিভি ভারত: আর গয়না ?

সন্দীপ: গয়না তো কোম্পানির দেওয়া ছিল । আমি সোহাকে বললাম, গয়না তো কোম্পানি দেবে ৷ সেখানেও সোহা আমার উপর গয়না বেছে দেওয়ার দায়িত্ব দিল । এগুলোই পাওয়া । কাজের প্রশংসা পাওয়া সোহা আলি খানের কাছ থেকে ।

ইটিভি ভারত: আর শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল ?

সন্দীপ: যখন আমি সোহার সঙ্গে দেখা করি তখন উনি আমেদাবাদে ট্রাভেল করছিলেন । শুটিংয়ের আগের দিন এসে পৌঁছলেন মুম্বই । সোহার বাড়িতেই আসেন । আমিও ওখানেই দেখা করি । আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একজনকে বললেন, "সন্দীপকে বসতে দাওনি ?" আমি বললাম, না আমিই দাঁড়িয়ে আছি । এই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ ।

ইটিভি ভারত: কী পরেছিলেন উনি ?

সন্দীপ: শাড়ি । আমি সব রেডি রেখেছিলাম ৷ অসম্ভব সুন্দর একটা লাইব্রেরিতে বসে আমাদের কথা হল । শাড়িগুলি দেখলেন । বললেন খুব ভালো । শাড়ির থেকেও ওঁর বেশি পছন্দ হয়েছিল আমার বাংলা বলা । আমি অবাঙালি হয়েও এত ভালো বাংলা বলব ভাবতে পারেননি । আমার সঙ্গে বাংলাতেই কথা হয় । কখন যে আপনি থেকে ওঁর কাছে 'তুমি' হয়ে গেলাম টেরই পাইনি । আমি মুম্বইতেই থাকি কি না, সেটাও জানতে চাইলেন । আমাকে উনি নিজের কিছু ব্লাউজ দেখালেন । তবে, শুটিংয়ে পরার জন্য দায়িত্ব পড়ল ব্লাউজ বানিয়ে দেওয়ার । মাঝে একটা মাত্র দিন ৷ তার উপর ঈদ । তবে, বানিয়ে দিতে পেরেছিলাম । ওঁর পছন্দ হয় । আমার বানানো আরও ব্লাউজ পরতে চান ঠাকুর কন্যা । এ আমার কাছে বড় প্রাপ্তি । যাঁর অভিনয় দেখে বড় হয়েছি, যাঁর কথা শুনেছি তাঁকে গয়না পরাচ্ছি, তাঁর পোশাক নিয়ে ভাবছি এর থেকে বড় প্রাপ্তি কী হতে পারে ? শুটিংয়ের দিন আমি শুধু তাকিয়েই ছিলাম ওঁর দিকে । জিজ্ঞেস করলেন, তাকিয়ে আছো যে ? কিছু বলবে ? আমি তখনও যেন একটা ঘোরের মধ্যেই ছিলাম ।

ইটিভি ভারত: মুম্বই আর কলকাতাতে কাজের মধ্যে কোনও তফাৎ খুঁজে পান ?

সন্দীপ: মুম্বই এবং কলকাতা, অসম্ভব দ্বৈরথ আছে দু'টোর মধ্যে । মুম্বই একটা অন্য চালে চলে । কলকাতাতে 17 বছরের কেরিয়ার । সবাই মোটামুটি চেনেন । কাজ পাওয়ার দিক থেকে আমি কী পারি আর কী করেছি তা বোঝানোতে দুই জায়গার মধ্যে একটা পার্থক্য তো আছেই । সেটা আমার দিক থেকে । টাকার পরিমাণ ওখানে নিঃসন্দেহে বেশি । এখানে দু-একটা প্রযোজনা সংস্থা ছাড়া বেশিরভাগকে টাকার জন্য বলতে হয় । ওখানে সেটা হয় না । খুব প্রফেশনাল । সবথেকে বড় কথা ওরা পোশাকের জন্য কম্প্রোমাইজ করেন না । আর্ট আর কস্টিউমকে গুরুত্ব দেন । কারণ ওই দুটো বেশি দেখা যায় । আজ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু বাড়তি কিনতে হলে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি ।

ইটিভি ভারত: আসন্ন অন্য কাজ ?

সন্দীপ: মুম্বইয়ের একটা সিনেমার কাজ করছি । তবে, বিস্তারিত এক্ষুণি বলা কঠিন । 'তুফান' 5 জুলাই ভারতে রিলিজ করতে চলেছে । এখানে শাকিব খান-সহ বাকিদের কস্টিউম আমার করা । মিমি ছাড়া । এ ছাড়াও আরেকটা ওয়েব সিরিজ আসছে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের । সেখানেও আমি সই সাবুত করেছি । বাকি পরে বলব । আর আমার কিছু কালেকশন লঞ্চ আছে ।

কলকাতা, 1 জুলাই: বাংলার গুণীদের দক্ষিণ, পশ্চিম জয় করে আসার ঘটনা নতুন নয় । তা সে অভিনেতা হোক বা গায়ক । বেশ অনেক বছর ধরে বাংলার স্টাইলিস্ট এবং ডিজাইনারদের উপরেও ভরসা রাখতে শুরু করেছে ভিন রাজ্যের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি । সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটের জন্য নবাব পত্নী শর্মিলা ঠাকুর এবং নবাব নন্দিনী সোহা আলি খানকে সাজানো বাংলার প্রথম সারির স্টাইলিস্ট সন্দীপ জয়সওয়াল । রবিবারই ফিরেছেন তিলোত্তমায় ৷ সোহা-শর্মিলার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো ইটিভি ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ডিজাইনার সন্দীপ ৷

ইটিভি ভারত: কেমন ছিল নবাব ঘরণী শর্মিলা ঠাকুর এবং নবাব নন্দিনীকে সাজানোর অভিজ্ঞতা ?

সন্দীপ: দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হল । প্রথমে সোহার সঙ্গে দেখা হয় । আগে সেটা বলি । এখনও একটা ঘোরের মধ্যে আছি আমি । প্রথম দিন যখন সোহার বাড়িতে পোশাকের মাপ নিতে গিয়েছিলাম সেদিন পনেরো-কুড়ি মিনিট আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম । আমায় দেখে বলেন, উপরে চলে এসো । অসম্ভব সুন্দর সাজানো একটা বাড়ি । সেটা তো একটা অন্যদিক, তবে সোহার আতিথেয়তা আর আপ্যায়ণ দেখে আমি মুগ্ধ । মনেই হয়নি এই প্রথম দেখা । দ্বিতীয় দিন ট্রায়াল করাতে গেলাম । সেদিন আমার বানানো ড্রেসের ফিটিংস ভালো হওয়ায় খুব খুশি হয় সোহা । কালার প্যালেটও ওঁর খুব পছন্দ হয় । দেখতে চাননি অন্য আর একটাও ।

ইটিভি ভারত: আর গয়না ?

সন্দীপ: গয়না তো কোম্পানির দেওয়া ছিল । আমি সোহাকে বললাম, গয়না তো কোম্পানি দেবে ৷ সেখানেও সোহা আমার উপর গয়না বেছে দেওয়ার দায়িত্ব দিল । এগুলোই পাওয়া । কাজের প্রশংসা পাওয়া সোহা আলি খানের কাছ থেকে ।

ইটিভি ভারত: আর শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল ?

সন্দীপ: যখন আমি সোহার সঙ্গে দেখা করি তখন উনি আমেদাবাদে ট্রাভেল করছিলেন । শুটিংয়ের আগের দিন এসে পৌঁছলেন মুম্বই । সোহার বাড়িতেই আসেন । আমিও ওখানেই দেখা করি । আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একজনকে বললেন, "সন্দীপকে বসতে দাওনি ?" আমি বললাম, না আমিই দাঁড়িয়ে আছি । এই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ ।

ইটিভি ভারত: কী পরেছিলেন উনি ?

সন্দীপ: শাড়ি । আমি সব রেডি রেখেছিলাম ৷ অসম্ভব সুন্দর একটা লাইব্রেরিতে বসে আমাদের কথা হল । শাড়িগুলি দেখলেন । বললেন খুব ভালো । শাড়ির থেকেও ওঁর বেশি পছন্দ হয়েছিল আমার বাংলা বলা । আমি অবাঙালি হয়েও এত ভালো বাংলা বলব ভাবতে পারেননি । আমার সঙ্গে বাংলাতেই কথা হয় । কখন যে আপনি থেকে ওঁর কাছে 'তুমি' হয়ে গেলাম টেরই পাইনি । আমি মুম্বইতেই থাকি কি না, সেটাও জানতে চাইলেন । আমাকে উনি নিজের কিছু ব্লাউজ দেখালেন । তবে, শুটিংয়ে পরার জন্য দায়িত্ব পড়ল ব্লাউজ বানিয়ে দেওয়ার । মাঝে একটা মাত্র দিন ৷ তার উপর ঈদ । তবে, বানিয়ে দিতে পেরেছিলাম । ওঁর পছন্দ হয় । আমার বানানো আরও ব্লাউজ পরতে চান ঠাকুর কন্যা । এ আমার কাছে বড় প্রাপ্তি । যাঁর অভিনয় দেখে বড় হয়েছি, যাঁর কথা শুনেছি তাঁকে গয়না পরাচ্ছি, তাঁর পোশাক নিয়ে ভাবছি এর থেকে বড় প্রাপ্তি কী হতে পারে ? শুটিংয়ের দিন আমি শুধু তাকিয়েই ছিলাম ওঁর দিকে । জিজ্ঞেস করলেন, তাকিয়ে আছো যে ? কিছু বলবে ? আমি তখনও যেন একটা ঘোরের মধ্যেই ছিলাম ।

ইটিভি ভারত: মুম্বই আর কলকাতাতে কাজের মধ্যে কোনও তফাৎ খুঁজে পান ?

সন্দীপ: মুম্বই এবং কলকাতা, অসম্ভব দ্বৈরথ আছে দু'টোর মধ্যে । মুম্বই একটা অন্য চালে চলে । কলকাতাতে 17 বছরের কেরিয়ার । সবাই মোটামুটি চেনেন । কাজ পাওয়ার দিক থেকে আমি কী পারি আর কী করেছি তা বোঝানোতে দুই জায়গার মধ্যে একটা পার্থক্য তো আছেই । সেটা আমার দিক থেকে । টাকার পরিমাণ ওখানে নিঃসন্দেহে বেশি । এখানে দু-একটা প্রযোজনা সংস্থা ছাড়া বেশিরভাগকে টাকার জন্য বলতে হয় । ওখানে সেটা হয় না । খুব প্রফেশনাল । সবথেকে বড় কথা ওরা পোশাকের জন্য কম্প্রোমাইজ করেন না । আর্ট আর কস্টিউমকে গুরুত্ব দেন । কারণ ওই দুটো বেশি দেখা যায় । আজ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু বাড়তি কিনতে হলে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি ।

ইটিভি ভারত: আসন্ন অন্য কাজ ?

সন্দীপ: মুম্বইয়ের একটা সিনেমার কাজ করছি । তবে, বিস্তারিত এক্ষুণি বলা কঠিন । 'তুফান' 5 জুলাই ভারতে রিলিজ করতে চলেছে । এখানে শাকিব খান-সহ বাকিদের কস্টিউম আমার করা । মিমি ছাড়া । এ ছাড়াও আরেকটা ওয়েব সিরিজ আসছে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের । সেখানেও আমি সই সাবুত করেছি । বাকি পরে বলব । আর আমার কিছু কালেকশন লঞ্চ আছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.