কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: পুজোর আবহে মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'টেক্কা' ৷ ছবিতে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। বয়কাট চুলে রুক্মিণী একেবারে অন্যরকম। হাতে বন্দুক, চোখে মুখে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার আগুন জ্বলছে তাঁর। একই সঙ্গে মনের মধ্যে মানুষের প্রতি অপার মায়া। চরিত্রের নামও মায়া। এহেন রুক্মিণী আরজি করের নৃশংস ঘটনা নিয়েও এই মুহূর্তে বেশ চিন্তিত। প্রতিবাদী মিছিলে তাঁকে দেখা না গেলেও প্রতিবাদ আছে তাঁর মনে।
ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "14 অগস্ট রাতটা যতটা শক্তিশালী ছিল ততটাই ছিল সুন্দর। এটাই একজন নারীর শক্তি। মনে রাখার মতো একটা রাত ছিল সেদিন ৷ আমি চাই এত প্রতিবাদ এত আওয়াজের মাঝে যেন মূল জায়গা থেকে আমাদের চোখ সরে না যায়। আমরা যেন একটা উদ্দেশ্যেই স্থির থাকি। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশে নারীদের নিরাপত্তার প্রয়োজন। কেন না, স্বাধীনতা শুধু এই রাজ্য পায়নি, সারা দেশ পেয়েছে। 14 অগস্ট থেকে দশদিনের মধ্যে সারা দেশে 1400টা ধর্ষণ হয়েছে। ভাবা যায়! এটা আমাদের দেশ?"
রুক্মিণী আরও বলেন, "আমরা চিরকাল জেনে এসেছি কলকাতা সবথেকে বেশি নিরাপদ জায়গা৷ আর তাই এরকম একটা নারকীয় ঘটনায় শহরের মানুষ কেঁপে উঠেছে। তাই এই প্রতিবাদ। আমি সবার পাশে আছি। বিচার পেতেই হবে আমাদের। আমাদের রাজ্য এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি। অত্যন্ত লজ্জা লাগছে উজ্জয়িনীর ঘটনায়। যেখানে মানুষ প্রতিবাদ না করে ধর্ষণ দেখল এবং তার ভিডিয়ো তুলল। আমরা যেন এরকম স্বার্থপর না হয়ে যাই কোনওদিন। "
রুক্মিণীর মতে, "সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। একইসঙ্গে দরকার ছেলেমেয়েদের সেক্স এডুকেশন। এ ছাড়াও অ্যাডাল্ট সেক্স এডুকেশন। গ্রামেগঞ্জে অ্যাডাল্ট সেক্স এডুকেশন ভীষণ দরকার। ক্যাট কলিং, ইভটিজিং বন্ধ হওয়া দরকার। নারী নিগ্রহ তা সে যেরকমই হোক না কেন তার জন্য পাঁচ বছর জেল হাজতে থাকা দরকার অপরাধীর। মেয়েরা কেন মুখ লুকোবে? ছেলেদের জেলে গিয়ে লজ্জা পেতে হবে।"