কলকাতা, 15 অগস্ট: স্বাধীন ভারতবর্ষে মাতৃভূমিকে সম্মান তথা দেশভক্তির উদাহরণ সবসময় উঠে আসে ৷ তবে সেই ভূমিতেই লুন্ঠিত হয় নারীদের সম্মান ৷ ধর্ষণ, খুন, নীরা নির্যাতনের ঘটনা বারবার উঠে আসে খবরের শিরোনামে ৷ স্বাধীনতার আবহে কলকাতার বুকেও নারকীয় ধর্ষণ ও হত্যার সাক্ষী থাকল সাধারণ মানুষ ৷ তাহলে মেয়েরা নিরাপদ কোথায়? স্বাধীন কোথায়? নানা প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট জবাব দিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ৷
ইটিভিভারতের ক্যামেরায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "রাজনৈতিক মদত না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। 2016 সালের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে এই রাজ্যে 35 হাজার মহিলা নির্যাতনের শিকার ৷ পুলিশ চাইলে সবকিছু করতে পারে ৷ একজন নাগরিক হিসাবে বলতে চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছে করলেই এই অপরাধগুলোর সঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমাধান করতে পারেন ৷"
ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়েছে আরজি করের ঘটনা নিয়ে সোশাল মিডিয়া অনেক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে ৷ অভিনেত্রী রূপার মতে, প্রথম ভুল তথ্য পুলিশের তরফে ছড়়ানো হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "একজন হাসপাতালে প্রিন্সিপাল মেয়েটির ওই অবস্থা দেখে কী করে বললেন সেটি খুন নয় আত্মহত্যা ৷ বাড়িতেও ফোন করে জানিয়ে দিলেন ৷ উনিই তো প্রথম ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন ৷ যে কারণে আজ সাধারণ মানুষের মনে এত প্রশ্ন জেগেছে ৷"
বিজেপি নেত্রী জানান, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এক সপ্তাহ পুলিশকে সময় দেয় ৷ এর কারণ একটা বাচ্চাও বোঝে বলে । সরকার যদি এই রাজ্যকে ভালোবেসে থাকে, মেয়েদের নিরাপত্তার কথা ভেবে থাকে তাহলে সত্য সামনে আসবে ৷ এই সমস্য়ার সমাধানও হবে ৷ পাশাপাশি এদিন প্রশ্ন তোলেন রাতের বেলায় কেন মেয়েরা বাইরে বেরোতে পারবেন না? অভিনয়, আইটি সেক্টর, সাংবাদিকতা সব জায়গাতেই মেয়েদের রাতের কাজ থাকে ৷ তাহলে কেন তাঁরা নিরাপদে রাতে কাজ করে ফিরতে ভয় পাবেন, সেই প্রশ্ন উঠে আসে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় কথায় ৷