কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ৷ সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে সেই কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের আর্জি করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী ৷ এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন অভিনেত্রী ৷ মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী দরবারে হাজির ঋতাভরী ৷
মমতার দরবারে ঋতাভরী
এদিন নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের আরজিকর নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে রাজ্যবাসীর চোখ ছিল সেদিকেই। এরই মাঝে বিকেলে আচমকায় মমতার প্রশাসনিক ভবনে উপস্থিত হন ঋতাভরী। তিনি কী বিষয়ে কথা বলেছেন তা এখনও জানা যায়নি ৷ তবে মনে করা হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিজের সঙ্গে ঘটা যে দুর্ঘটনা শেয়ার করেছিলেন, তা নিয়েই হয়তো কথা হয়েছে মাননীয়ার সঙ্গে ৷
এর আগে, অগস্টের 26 তারিখ অভিনেত্রী দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন ইন্সটাগ্রামে ৷ পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে টলিউডে যৌন হেনস্থা রুখতে হেমা কমিটির আদলে কোনও কমিটি তৈরির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর নবান্নে আসায় রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন সম্ভবত এই সোশাল মিডিয়ার পোস্টের পরই অভিনেত্রীকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী কারোর পক্ষ থেকে কোনও অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফলে কেন এই অভিনেত্রী নবান্নে এলেন তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
সামাজিক মাধ্যমে কী লিখেছিলেন ঋতাভরী...
অভিনেত্রী লিখেছিলেন, "দিদি আমরাও আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি ৷ আমরা আর কোনও ধর্ষণ বা যৌন হেনস্তার মতো ঘটনার শিকার হতে চাইছি না ৷ শো বিজনেসে থাকার মানে এই নয় যে, কোনও পুরুষ অধিকারকে দেওয়া বাজে নজরে আমাদের দেখা বা আমাদের টার্গেট করা বা যৌন তৃষ্ণা মেটানোর মাধ্যম হিসাবে দেখা ৷ এটা হতে পারে না ৷"
তিনি আরও লেখেন, "মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে যৌন হেনস্তার ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে হেমা কমিটির রিপোর্ট। আমি ভাবছি, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কেন এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? আমি জানি এই তদন্ত হলে কত রিপোর্ট সামনে আসবে ৷ আমার মতো আরও কত অভিনেত্রী যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তাঁরা মুখ খুলতে পারবেন ৷" এরপরেই 'ফাটাফাটি' অভিনেত্রীর 'নবান্ন যাত্রা'কে ঘিরে জল্পনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ৷