কলকাতা, 31 মে: উত্তম-সুচিত্রা জুটির পর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ একটা যুগ তৈরি করেছেন ৷ উত্তম-সুচিত্রা জুটির সোনার সময় শেষ হওয়ার পর বেশ অনেকদিন 'জমজমাট' জুটিবিহীন বাংলা সিনেমা দেখেছে দর্শক। এর প্রায় অনেক বছর পর টলিপাড়ায় আসে নতুন মুখ। নাম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে প্রথম জুটি বেঁধে কাজ করেন সেই সময়ের রোম্যান্টিক তথা অ্যাকশন হিরো প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রসেনজিৎ তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলা বাহুল্য, একটা সময় বাণিজ্যিক ছবিকে প্রায় একাই টেনে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
তবু তাঁরা মানতে নারাজ যে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে একটা সময়ে টেনে তুলেছিলেন। তাঁদের মতে, "আমরা একা নয় ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্যরাও আমাদের পাশে ছিলেন। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় সবটা সম্ভব হয়েছে।" ফের কখনও যদি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বিপদের মুখে পড়ে তা হলে এই মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রিতে কে বা কারা রয়েছেন হাল ধরার মতো? উত্তর দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কেমন ছিল তাঁদের সময়ের ইউনিট? আজ কেমন ? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "একটা কোল্ড ড্রিঙ্কস এনে খেতে গেলেও ইতস্তত করতাম আমরা। মেয়েরা পর্দা টাঙিয়ে তারপর কস্টিউম চেঞ্জ করত। এসি ফ্লোর ছিল না, এসি মেক আপ রুম ছিল না। এসি ঘরে বসে ইন্টারভিউও দেওয়া হত না তখন...৷"
আমাদের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়ে মানুষের ভাবনা জারি থাক: 'অযোগ্য' জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা
ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এরই মাঝে আগমন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'নাগপঞ্চমী' ছবিতে জুটি বাঁধেন তিনি। এরপর পরের পর ছবিতে তাঁদের রোম্যান্টিক কেমিস্ট্রিই কাজে লাগান প্রযোজক-পরিচালকমণ্ডলী। তাঁদের জুটি ভালোবাসতে শুরু করে বাঙালি দর্শক। ইন্ডাস্ট্রি আরও একবার পায় এক সোনার জুটিকে। যে জুটি উপহার দিয়েছে 'নাগপঞ্চমী', 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ', 'মনের মানুষ', 'স্ত্রীর মর্যাদা', 'মধুর মিলন', 'সুন্দরী', 'বাবা কেন চাকর', 'মধু মালতী'-সহ আরও বহু হিট ছবি। যা বাঙালি দর্শককে ফের হলমুখী করে।
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির প্রথম শ্যুটিঙেই ছিল ফুলশয্যার দৃশ্য ! তারপর...