কলকাতা, 5 অগস্ট: চলতি সপ্তাহে নানা চ্যানেলে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন ধারাবাহিক। তালিকায় 'বসু পরিবার' থেকে শুরু করে 'বউচুরি'। এবার সামনে হাজির আরও একটি নতুন ধারাবাহিক ৷ নাম 'মধুর হাওয়া'। ধারাবাহিক জুড়ে রয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কানন দেবী। কীভাবে, তা ধারাবাহিক দেখলেই বোঝা যাবে ৷ আসন্ন ধারাবাহিকের মূল কাহিনি প্রচেত গুপ্ত'র। কাহিনি বিন্যাস করেছেন রাকেশ ঘোষ, সংলাপ লিখছেন অভিনন্দন দত্ত। পরিচালনায় অনিন্দ্য সরকার ৷ 5 অগস্ট থেকে সোম থেকে শনিবার সন্ধে 7টায় সম্প্রচারিত হবে এই ধারাবাহিক।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দু উত্তর কলকাতার সান্যাল বাড়ি। বাড়ির কর্তা নীহার রঞ্জন সান্যাল। বছর আশির নীহার রঞ্জন বাবু প্রাচীনপন্থী। কানন দেবীর গান ও অভিনয়ের একনিষ্ঠ ভক্ত তিনি। তাঁর ঘরে কানন বালার পুরনো গানের রেকর্ড সবসময় বাজতেই থাকে ৷ বহু ছবি সঞ্চিত। নীহার রঞ্জন বাবুর স্ত্রী কিরণময়ী। অল্প বয়সে কিরণময়ীর কণ্ঠে কাননবালার গান শুনেই মুগ্ধ হয়েছিলেন নীহার রঞ্জন। এমনকী, ফুলশয্যার রাতে স্ত্রী'র নাম বদলে কানন রাখতে চেয়েছিলেন নীহার রঞ্জন।
কিরণময়ী বেঁকে বসলে সেই আশায় জল পড়ে নীহারবাবুর ৷ মনের সাধা পূরণ করতে নীহার রঞ্জন নিজের বাড়ির নাম রাখেন কিরণ কানন। কিশোরী কিরণ দুষ্টমি করে পাথর খোদাইয়ের সেই নাম ইট দিয়ে ঘষে ঘষে কানন কথাটি মুছে দেন। দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে নীহার রঞ্জন ও কিরণময়ীর সম্পর্কে 'সতীন কাঁটা' হয়ে রয়ে যান কানন দেবী। তারপর কী হয়, তা নিয়েই এগিয়েছে ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য ৷
যদিও, নীহার রঞ্জন ও কিরণময়ীর ঝগড়াঝাটির মধ্যে দেখা যায় মিষ্টি মধুর সম্পর্ক। তাঁদের দুই সন্তান নিরঞ্জন ও নীহারিকা। নিরঞ্জন বাবু বাংলার শিক্ষক। নিরঞ্জন বাবুর স্ত্রী কল্যানী। এদের চার সন্তান। বড় ছেলে কুণাল, মেজ ছেলে মনোজ, ছোট ছেলে বিজয় আর একমাত্র মেয়ে বনলতা। পরিবারের চার প্রজন্ম একই বাড়িতে বসবাস করে। বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়ে গড়ে ওঠা পরিবারের গল্প নিয়েই ধারাবাহিক 'মধুর হাওয়া'।