হায়দরাবাদ, 26 অক্টোবর: কলকাতার রাজপথে থেমে নেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ৷ সাধারণ থেকে সেলেব, মৃত চিকিৎসক তরুণী আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকের মনে ৷ রাত দখলে নারীশক্তির উত্থানের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য-দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ৷ পুজোর মুহূর্তে শহর থেকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অন্যরকম রাত দখলের অনুভূতি সঙ্গীত শিল্পী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷
সোশাল মিডিয়ায় শিল্পী লেখেন, "নিউইয়র্ক টাইমস স্কোয়ারের প্রশস্ত রাজপথ দিয়ে আটপৌরে শাড়ি পরে হেঁটে যাচ্ছে একটা নিতান্ত সাধারণ বাঙালী মেয়ে… বাদামি রঙের ত্বকের উপর হাজারখানেক নিয়ন আলোর ঝিলিমিলি…ও কিন্তু কারও দিকে তাকাচ্ছে না, নির্ভর করছে না… কোন এক স্নেহের শহর চিত্তরঞ্জনে বেড়ে উঠেও নিউ ইয়র্কের নির্মম, ক্ষমাহীন রাস্তায় তাঁকে কেউ রুখে দাঁড়াতে পারছে না; এ যেন বড় একটা দায় তাই না?!"
এরপর পৌষালী লেখেন, "কি বলবো আমরা এমন মেয়েকে, সাহসিনী? বেড়েপাকা? নাকি মুখ ঝামটা দিয়ে বলব, “যত্তসব ন্যাকামি! না, আমার কথা বলছি না, অন্তত শুধু আমার কথা বলছি না, সোনালি চক্রবর্তী, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, নবনীতা দেবসেন কিংবা হালের সোশাল মিডিয়া সেনসেশন মহুয়া দি সবার কথাই বলছি… কাকেই বা ছেড়ে কথা বলল আমাদের সমাজ; আমি জানি আমিও বাদ যাব না, বাদ যাই না! যতই রাত দখল হোক, মেয়েদের ছেড়ে কথা বললে যে পিতৃতান্ত্রিকতায় আঘাত লাগবে!"
পুজোর সময় আর পাঁচটা শিল্পীর মতো আমেরিকায় গানের শো করতে গিয়েছেন পৌষালী ৷ বস্টন থেকে সান্সফ্রান্সিসকো বাংলা লোকগানের মণিমুক্তো তিনি বিলিয়েছেন প্রবাসী বাঙালির মধ্যে ৷ এই সবকিছুর মধ্যেও মনের কোণায় কোথায় যেন আরজি কর কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের বিচার না পাওয়া তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে শিল্পীকে ৷ নিউইর্য়কের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নির্মম সত্যের মুখোমুখি শিল্পী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷