কলকাতা, 29 অগস্ট: 'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' ছবি রিলিজ নিয়ে দ্রুত শুনানির প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না কলকাতা হাইকোর্ট। মন্তব্য প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ফলে 'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' পর্দায় মুক্তি পাওয়া নিয়ে কোনও বাধা রইল না। মামলাকারী রাজীব কুমার ঝায়ের আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট।
মামলাকারীর আইনজীবী এদিন বলেন, "বেঙ্গল ডায়েরিজ নামক ছবিটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় দেখানো হয়েছ। প্রশাসনের সমালোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। ছবি রিলিজে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।" প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, " আপনার ইচ্ছা হলে দেখুন, ইচ্ছা না হলে দেখবেন না। গনতান্ত্রিক দেশ। এটা স্বাভাবিক। কেউ কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। এই ধরনের জনস্বার্থ মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবারও এমন একটা মামলা দেখা গেল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক সহনশীল।"
এই মামলার পরবর্তী শুনানি তিন সপ্তাহ পর ধার্য করল হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে শুক্রবার 'দি ডাইরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' ছবির মুক্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ঐ ছবির উদ্যোক্তারা। "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক সহনশীল। সিনেমায় যদি কোন বিভ্রান্তিমূলক বিষয় থাকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তা বিচার বিবেচনা করবে। কারণ রাজ্যের মানুষের মধ্যে যে সংস্কৃতি রয়েছে তাতে তাঁরা যে কোনও বিষয় উপযুক্ত বিবেচনা করতে পারে।" 'দি ডাইরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' সিনেমার মামলা চলাকালীন মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
আবেদনকারীরপক্ষ থেকে দাবি করা হয় একইভাবে মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি সিনেমা বন্ধের নির্দেশ জারি করেছিল। প্রধান বিচারপতি জানান ঐ সিনেমা বন্ধের প্রধান কারণ ছিল সিনেমার গল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারের সকলের ছবি ঐ সিনেমায় প্রদর্শিত হয়েছিল। এমনকী, ওই পরিবারের নাবালিকা কন্যার উপর ছবি প্রদর্শন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই গল্পের বইটির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
পাশাপাশি আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব সুপ্রিমকোর্টের বিস্তারিত রায় রয়েছে। ছবির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যদি কোনও দাবি থাকে, সেন্সর বোর্ডের কাছে আবেদন জানান। আদালতের আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে ৷ তাই এই মুহূর্তে আদালত মনে করছে না দীর্ঘ সময় ধরে এই মামলার শুনানির প্রয়োজন আছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী তিন সপ্তাহ পরে।