নিউইয়র্ক, 30 এপ্রিল: দেখতে দেখতে সিনেমা জগতে 50 বছর কাটিয়ে ফেললেন এভারগ্রিন অভিনেত্রী শাবানা আজমি ৷ তাঁর 50 বছরের এই যাত্রাকেই এবার উদযাপন করা হবে 24তম নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে (এনওয়াইআইএফএফ) ৷ সেটি অনুষ্ঠিত হবে মে মাসে ৷ দেশের বাইরে ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্রের বার্ষিক উদযাপন হল এনওয়াইআইএফএফ ।
উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয় নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল ৷ যেটি এ বছর শুরু হবে 31 মে থেকে এবং চলবে 2 জুন পর্যন্ত ৷ অমিতাভ বচ্চন এবং নাসিরুদ্দিন শাহ-সহ ভারতীয় সিনেমা জগতের কিছু বড় অভিনেতাদের 49টি ফিল্ম, তথ্যচিত্র এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র দেখানো হবে এই ফেস্টিভ্যালে ৷ সঙ্গে থাকবে শাবানা আজমির সিনেমাও ৷
73 বছরে ভারতীয় সিনেমাকে নিজের কাজের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করছেন শাবানা আজমি ৷ বলিউড থেকে বিদেশে একের পর এক চরিত্রে নিজেকে সফলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি ৷ দর্শক মুগ্ধ হয়েছে তাঁর কাজে ৷ পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার-সহ পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে এই অভিনেত্রীকে ৷ এবার তাঁর কাজকে উদযাপন করতে চলেছে ফিল্ম ফেস্টিভাল কর্তৃপক্ষ ৷
এনওয়াইআইএফএফ বিশেষ ইভেন্টের মাধ্যমে শাবানা আজমির এই যুগান্তকারী 50 বছর উদযাপন করা হবে ৷ দীপা মেহতা পরিচালিত শাবানা অভিনীত 1996 সালের চলচ্চিত্র ফায়ার দেখানো হবে । শাবানা আজমি বলেছেন, "শুরু থেকেই আমি নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। কয়েক বছর ধরে এটি যে অগ্রগতি করেছে তাতে আমি আনন্দিত । আমি খুশি যে সিনেমা জগতে আমার 50তম বছর নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে উদযাপন করা হচ্ছে এবং আমি এটির জন্য অপেক্ষায় আছি ৷" এনওয়াইআইএফএফ একটি বিবৃতিতে বলেছে, শাবানা আজমির সিনেমা জগতে কৃতিত্বের বাইরেও তিনি প্রতিনিয়ত সমাজের জন্য কাজ করে চলেছেন ৷ বিশেষত মহিলাদের এবং দুস্থদের জন্য সত্যিই তিনি অনুপ্রেরণাদায়ক ।"
পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী 140টিরও বেশি হিন্দি এবং 12টি আন্তর্জাতিক যেমন, মেহতার 'মিডনাইটস চিলড্রেন', মীরা নায়ারের 'দ্য রিলাক্ট্যান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট' এবং ইসমাইল মার্চেন্টের' ইন কাস্টডি' মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন । 'অঙ্কুর'-এ তাঁর চরিত্র থেকে সাম্প্রতিক সময়ে 'রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি' এবং 'ঘুমর'-এ কাজ মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে ৷ শেখর কাপুরের 'হোয়াটস লাভ গট টু ডু উইথ ইট'এবং স্টিভেন স্পিলবার্গের মিনি-সিরিজ 'হ্যালো'র মাধ্যমে দেশের বাইরেও তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে ।
আরও পড়ুন: