হায়দরাবাদ, 5 জুলাই: একের পর এক খুন, চলল গুলি, আরও রক্তাক্ত হয়ে সামনে এল 'মির্জাপুর -3'। কালিন ভাইয়া-গুড্ডু পণ্ডিতের সঙ্গে লড়াই এবার আরও জোরদার ৷ গুড্ডু পণ্ডিতের চরিত্রকে যথাযতভাবে ফুটিয়ে তুলতে 'ফুকরে' ফ্র্যাঞ্চাইজির ছবি থেকেও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেতা আলি ফজল। মির্জাপুর সিজন 3-তে মূলত তাঁর চরিত্রটিই সবথেকে বেশি উঠে এল। বৃহস্পতিবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার পরই নেটিজেনরা বুঁদ রিভিউ দিতে ৷
'মির্জাপুর' সিজন 3 নিয়ে সকলেরই ছিল প্রবল আগ্রহ। প্রথম দুই সিজনের জমজমাট সাফল্যের পর তৃতীয় সিজনও যে মন জয় করবে সকলের, সে বিষয় আশাবাদীও ছিল সকলেই। সিজন 3 আনতে নির্মাতাদের সময় লেগেছে প্রায় 4 বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় সিজনের মতো এবারও পুরো সিরিজটি রাজনীতি, বিশ্বাসঘাতকতা ও পারিবারিক কলহে জমজমাট বলা চলে। কিন্তু, কালিন ভাইয়ার থেকেও গুড্ডু ভাইয়া (আলি ফজল) এবার মাতিয়েছে দর্শকদের।
মির্জাপুরের প্রথম সিজন 2018-র নভেম্বর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োয় মুক্তি পেয়েছিল ৷ তার দু'বছর পর 2020-তে মুক্তি পায় মির্জাপুরের দ্বিতীয় পার্ট ৷ আর তার চার বছর পর আজ মুক্তি পেল মির্জাপুর সিজন 3 ৷ তৃতীয় সিজন শুরু হয় যেখানে দ্বিতীয় সিজন শেষ হয়েছিল। মুন্না ভাইয়ার মৃত্যুর পর কালিন ভাইয়া কোমায় চলে গিয়েছেন। যে কারণে গুড্ডু ভাইয়াও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে। এই সিজনে কালিন ভাইয়ার স্ক্রিন স্পেস একটু কম।গুড্ডু ভাইয়ার সঙ্গে গোলুকেও (শ্বেতা ত্রিপাঠী) দেখা যাচ্ছে অন্যফর্মে।
পরিচালনা প্রসঙ্গে, গুরমিত সিং তৃতীয় সিজনটি খুব ভালোভাবে পরিচালনা করেছেন। এবারও মোট দশটি পর্ব রয়েছে এবং সেগুলি দেখতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা লাগবে। আসল গল্পের সমস্ত রোমাঞ্চই ক্লাইম্যাক্সে। শেষ 10 মিনিটে একটি অত্যাশ্চর্য বিষয় প্রকাশ্যে আসে।
পূর্বাঞ্চলের দখল এবার কার ? গুড্ডু পণ্ডিত নাকি কালিন ভাইয়ার!