হায়দরাবাদ, 22 জুলাই: বিচ্ছেদের পরেও নানা অনুষ্ঠান থেকে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন একসঙ্গে করে চলেছেন পরিচালক কিরণ রাও ও অভিনেতা আমির খান ৷ বিচ্ছেদ হলেই যে সম্পর্ক শেষ হয় না, তিক্ততা বাড়ে না, তা এক সাক্ষাৎকারে বুঝিয়ে দিলেন আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ ৷ বরং বন্ধু হয়েই একে অপরের পাশে থাকায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলে জানান 'লাপাতা লেডিজ' পরিচালক৷
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিরণকে আমির খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় ৷ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর খুশির জন্য এই বিচ্ছেদ প্রয়োজন ছিল ৷ তাঁর কাছে আসলে এটা ছিল 'হ্যাপি ডিভোর্স'৷ তিনি জানান, আমিরের সঙ্গে সম্পর্কের আগে স্বাধীন জীবন যাপন করতেন তিনি ৷ আবার কখনও একা একাও লাগত ৷ কিন্তু এখন আর একা লাগে না তাঁর ৷ ছেলে আজাদের সঙ্গে সময় কাটানো ও কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি খুশি ৷ পাশাপাশি দুই পরিবারের সদস্যদের থেকে সাপোর্ট পাওয়ায় তিনি আনন্দিত ৷
কিরণের আগে আমির 1986 সালে বিয়ে করেন রিনা দত্তকে ৷ সেই সম্পর্কে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে ৷ মেয়ে ইরা খান ও ছেলে জুনেইদ খান ৷ 16 বছরের বিবাহিত জীবনের পর 2002 সালে রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় আমির খানের ৷ এরপর 2005 সালের 28 ডিসেম্বর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন আমির ৷ 2011 সালে তাঁদের সন্তান আজাদের জন্ম হয় ৷ এরপর 2021 সালে তাঁরা ভিডিয়ো করে 15 বছরের বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন ৷
এর আগে 'লাপাতা লেডিজ' প্রোমোশনের সময় কিরণ জানিয়েছিলেন, আমির ও তাঁর সম্পর্কে কোনও তিক্ততা নেই ৷ তাঁরা এখনও একে অপরের সঙ্গে ভালোবাসা, সম্মান ভাগ করে নেন ৷ বরং বিচ্ছেদের পর তাঁদের সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়েছে ৷ এমনকী, কিরণকে ইরা খানের বিয়েতে প্রতিটি অনুষ্ঠানে আনন্দ উপভোগ করতেও দেখা গিয়েছে ৷ রিনা ও কিরণকেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বহুবার ৷ এই বিষয়ে কিরণ আগে জানিয়েছিলেন, "আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম ৷ যখন আমাকে আর রিনাকে একসঙ্গে পাপারাৎজিরা দেখেন তখন তাঁরা সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ৷ তাঁরা কেউ আমিরের কথা ভাবেনই না ৷ আমি আর রিনা হেসে পোজ দিই ৷ কারণ আমরা বন্ধু ৷ এটা আমাদের কাছে বড় বিষয় নয় ৷"
আসলে কিরণ পরিষ্কারভাবে বলতে চেয়েছেন, কোনও সম্পর্ক যদি মসৃণভাবে না চলে তাহলে একে অপরের থেকে বন্ধনমুক্ত হওয়াই যায় ৷ সেখানে কোনও তিক্ততা নয়, বরং সুন্দর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব ৷ আসলে জীবনে প্রত্যেকের ভালো থাকার অধিকার রয়েছে ৷