হায়দরাবাদ, 8 জুন: কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরূপ মন্তব্যের জেরে হেনস্তার শিকার হলেন কঙ্গনা রানাওয়াত ৷ অনেকে সমালোচনা করলেও বিশাল দাদলানির মতো সঙ্গীত পরিচালক এই ঘটনাকে সমর্থন জানিয়েছেন ৷ তারপরেই ফের আসরে নেমেছেন বলিউড 'কুইন' ৷ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে চড় মারার ঘটনাকে যাঁরা সমর্থন জানিয়েছেন তাঁদের তুলোধনা করলেন 'পঙ্গা' অভিনেত্রী ৷ সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুললেন যাঁরা সিআইএসএফ জওয়নের 'কীর্তি'কে সমর্থন করছেন তাঁরা কী ধর্ষণ-খুনের মতো ঘটনাকেও সমর্থন করবেন?
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "প্রত্যেক ধর্ষক, খুনি অথবা একজন চোরের কঠিন মনস্তাত্ত্বিক এবং আর্থিক কারণ থাকে অপরাধের পিছনে ৷ কোনও কারণ ছাড়া অপরাধ ঘটে না ৷ তবু অপরাধের জন্যই তাঁদের শাস্তি দেওয়া হয়, জেলে পাঠানো হয় ৷ আর কেউ যদি অপরাধীর অপরাধ করার নেপথ্যে থাকা যুক্তিকে সমর্থন করেন তাহলে তিনিও এদেশের আইন লঙ্ঘন করছেন ৷"
কঙ্গনা আরও লেখেন, "মনে রাখবেন, যদি কেউ কারও অনুমতি ছাড়াই কোনও ব্যক্তির শরীর স্পর্শ করার স্পর্ধা দেখান এবং সেটা যদি আপনি সমর্থন করে থাকেন তাহলে বলতে হয়, ধর্ষণ বা খুনের মতো ঘটনা আপনাকে বিচলিত করে না ৷ অর্থাৎ, আপনার মনের গভীরেও অপরাধমূলক প্রবণতা রয়েছে ৷ এই কারণে আমার পরামর্শ, দয়া করে যোগা বা মেডিটেশন করুন ৷ না হলে আপনার জীবন আরও তিক্ত হয়ে উঠবে ৷ দয়া করে নিজের কাঁধে ঘৃণা, অহঙ্কার, ক্ষোভ বা ঈর্ষা বহন করবেন না ৷ নিজেকে এই সব কিছু থেকে মুক্ত করুন ৷"
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৷ চণ্ডীগড় বিমানবন্দর থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে এক মহিলা সিআইএসএফ কর্মী আচমকাই কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারেন বলে অভিযোগ ওঠে ৷ জানা যায়, কঙ্গনার কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরূপ মন্তব্যের জন্যই তিনি এই অপরাধ করেছেন ৷ আসলে সেই জওয়ানের মা-ও কৃষক আন্দোলনের অংশ ছিলেন ৷ এই ঘটনা সামনে আসার পরেই সোশাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে মতামতকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সিআইএসএফ জওয়ানকে ৷ গড়া হয়েছে তদন্ত কমিটি ৷