কলকাতা, 12 জুন: মা নেই ৷ তাই পরপর দু'বছর জামাইষষ্ঠী থেকে বঞ্চিত অপরাজিতা আঢ্য । অভিনেত্রী 2023-এর 27 ফেব্রুয়ারি তাঁর মাকে হারিয়েছেন । তাই এই নিয়ে দু'বছর মায়ের হাতে যত্নে বানানো মিষ্টি দই দিয়ে চিংড়ি মাছের মালাইকারি থেকে বঞ্চিত অপরাজিতা আঢ্য এবং তাঁর স্বামী অতনু হাজরা । জামাইষষ্ঠীর আগের দিন এই বিশেষ উপলক্ষকে ঘিরে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী ।
অপরাজিতা বলেন, "মাকে খুব মিস করছি । মনটা খারাপ । দু'বছর হল মা নেই । আমি এই অনুষ্ঠানগুলিতে খুব বিশ্বাস করি । এগুলি বাঙালির ঐতিহ্য এবং বড়দের আশীর্বাদ পাওয়ার একটা সুযোগ । বাবা-মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া মানে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া । সেই আশীর্বাদ যতদিন সঙ্গে থাকে, চলার পথটাও ততদিন মসৃণ থাকে । সুতরাং, সেই আশীর্বাদের সুযোগ যতদিন থাকে, ততদিন বোঝা যায় না কী আছে ৷ আর যখন থাকে না তখন বোঝা যায় কী নেই ।"
অভিনেত্রী এই বছর জামাইষষ্ঠীর পরদিনই পাড়ি দেবেন জগন্নাথদেবের ধামে পুরীতে । অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর মায়ের হাতের সেরা পদ কী ছিল জামাইষষ্ঠীতে, যেটা চেটেপুটে খেতেন তাঁর স্বামী অতনু হাজরা ? অভিনেত্রী বলেন, "আমার মা মিষ্টি দই দিয়ে চিংড়ি মাছের মালাইকারি করতেন । যেটা আমাদের দু'জনেরই খুব ফেভারিট ছিল । এটা ঘটিদের স্পেশাল আইটেম । বিশেষ করে যারা সুবর্ণ বণিক অর্থাৎ সোনার বেনে, তাদের ঘরে এই আইটেমটা হয়। আমাদেরও হয়। মা বাঙাল ছিলেন ৷ কিন্তু আমার বড়মা'র কাছ থেকে এই রেসিপিটা শিখে নিয়েছিলেন খুব ভালোভাবে । আমাদের জামাইষষ্ঠী মানে ওই পদটা হবেই হবে । আর হতও। অতনু খুব ভালোবাসত খেতে । আমিও তাই । তবে, আমাদের দু'জনেরই এখন খাওয়াদাওয়ার তালিকা থেকে অনেককিছু বাদ পড়েছে । তবুও মা যতদিন এই পদটা করেছেন, আমরা কেউই ছাড়িনি । আমরা দু'জনেই খাদ্যরসিক । কিন্তু এই নিয়ে দু'বছর, মায়ের হাতের সেই রান্না থেকে আমরা বঞ্চিত ।"