দুর্গাপুর, 17 ডিসেম্বর: রাজীব গান্ধী স্মৃতি মেলা ময়দানে তখন শীতের অন্ধকার জাঁকিয়ে বসেছে ৷ মাথার ওপর ঘোরাফেরা করছে জমাট কুয়াশা ৷ ঠান্ডায় জুবুথুবু দুর্গাপুরকে তখন গানের ওমে চাঙ্গা করছেন হরিহরণ ৷ কখনও তাঁর কণ্ঠে ভেসে আসছে 'রোজা জানেমন...' আবার কখনও শোনা যাচ্ছে 'বাহো কি দরমিয়া...' ৷ মঙ্গলবারের সন্ধ্যাটা একেবারে অন্যরকমভাবে কাটল দুর্গাপুরবাসীর ৷
হরিহরণ অনন্ত সুব্রহ্মণি ভারতীয় সংগীত জগতের এক মাইলস্টোন। রাগ প্রধান গান ছাড়াও ফিউসন ও গজল গান গেয়ে হরিহরণ কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয় জয় করেছেন। দুবার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত হরিহরণ উপস্থিত হন দুর্গাপুর উৎসবে ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে হরিহরণ অকপটে জানিয়ে দিলেন,
"মানুষ যতদিন তার গান শুনছেন, তাকে ভালোবেসে তার গানকে উপভোগ করছেন ততদিন তিনি মানুষের জন্য গান গাইবেন।" |
দুর্গাপুর উৎসবে এসে মঞ্চ মাতালেন হরিহরণ। ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার এআর রহমান হরিহরণকে দিয়ে প্রচুর সিনেমায় প্লে ব্যাক করিয়েছেন। হরিহরন বলেন, "এআর রহমানের মত সুরকার প্রতিদিন জন্মায় না। ঈশ্বরের সৃষ্টি এই সুরকাররা দীর্ঘ অপেক্ষার পর জন্মান। তবে আমি আশাবাদী ভারতবর্ষে এআর রহমানের মত আরও অনেকে জন্মাবেন যাঁরা ভারতীয় সংগীতকে মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা পাইয়ে দেবেন।"
ভারতীয় সংগীতের লিভিং লেজেন্ড হরিহরণ এখনও মঞ্চে মন মাতানো সংগীত পরিবেশন করে দুর্গাপুরের সংগীত বোদ্ধাদের হৃদয় জয় করলেন। হরিহরণ ইটিভি ভারতকে বলেন, "রাগ প্রধান গান অনেকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ফিউশন এবং গজলের রেওয়াজ এক সময় কমে গেলেও আবার অনেকেই খুব ভালো গাইছেন। মন থেকে যতদিন সংগীতের সাধনা করবেন ততদিন আপনি গায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করবেন। আধুনিক প্রজন্মের যাঁরা গান গাইছেন তাঁদেরকে আমি বলব মন থেকে আনন্দের সঙ্গে সংগীত পরিবেশন করুন। এই আনন্দ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন গান বেঁচে থাকবে।"