মুম্বই, 29 নভেম্বর: ফের ইডির নজরে অভিনেত্রী শিল্পী শেঠ্ঠীর স্বামী রাজ কুন্দ্রা ৷ শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা (ইডি) বিটকয়েন কেলেঙ্কারির মামলায় ফের একবার তল্লাশি চালান রাজ কুন্দ্রার বাড়ি ও অফিসে ৷ জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের বাড়ি-অফিসের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশেও রাজ কুন্দ্রার অন্য বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি ৷ জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের দুটি দল 15টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ৷
আইএএনএস-এর খবর অনুসারে বিটকয়েন স্ক্যামের পাশাপাশি তদন্ত মামলায় জুড়েছে আর্থিক তছরুপের ঘটনাও ৷ জানা গিয়েছে, 2017 সালে রাজ কুন্দ্রা 6 হাজার 600 কোটি টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তুলেছেন ৷ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্রিপ্টো অ্যাসেটের মাধ্যমে প্রত্যের মাসে 10 শতাংশ ফেরত দেবেন তিনি ৷ 2024 সালের এপ্রিল মাসে এই ঘটনার তদন্তে নেমে কুন্দ্রা ও শিল্পা শেঠ্ঠীর একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা ৷ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রায় 97 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷
2019 এবং পরে 2024 সালে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে একাধিক অভিযোগ এবং এফআইআর নথিভুক্ত করার পরে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা কুন্দ্রা এবং তাঁর অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল ৷ বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে টনি জুহু শহরতলিতে কুন্দ্রার একটি ফ্ল্যাট, লোনাভালা হিল স্টেশনে একটি বাংলো (পুনে জেলা) ৷ এছাড়াও একাধিক স্টক এবং অন্যান্য সম্পদে বিভিন্ন ধরণের বিনিয়োগও রয়েছে সেই তালিকায় ৷ এরপরেই বলিউড কাপল গত মাসে বম্বে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন।
পাঁচবছর আগে কুন্দ্রার বিরুদ্ধে পর্ন কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল ৷ ‘হটশটস’ নামে এক প্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাপ খোলার জন্য বছর খানেক আগেই হাজতবাস হয়েছিল রাজের। পাক্কা দু'মাস হাজতবাস করার পর জামিন পান রাজ কুন্দ্রা ৷ উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি পুলিশের কাছে ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজ-সহ আরও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে।
বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা তোলেন অভিযুক্তরা। ক্রিপ্টো সম্পত্তি গড়ে তোলার লোভে অনেকেই টাকা ঢালেন ওই সংস্থায়। কিন্তু ওই সংস্থা সকলকে ঠকানোয় একাধিক মামলা দায়ের হয়। তদন্তে নেমে রাজের সঙ্গে ওই সংস্থার সংযোগ খুঁজে পায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, গোটা দুর্নীতি চক্রের মাথা ছিলেন অমিত। নিরীহ মানুষকে টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছিলেন তিনি। সেই বিটকয়েনই যায় পরে রাজের কাছে , বর্তমানে যার বাজারদর প্রায় 150 কোটি টাকা। সেই প্রেক্ষিতেই রাজের প্রায় 97 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি ।