ETV Bharat / entertainment

'কেন কাজ বন্ধ থাকল জবাব দিতে হবে ফেডারেশনকে'; রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ দেব-প্রসেনজিতের - RAHOOL MUKHERJEE

TOLLYWOOD BAN RAHOOL MUKHERJEE: শনিবার সকালেও মিটল না সমস্যা ৷ রাহুল মুখোপাধ্যায় তিনমাস পরিচালক হিসাবে কাজ করবেন না ৷ এমন সিদ্ধান্তে অনড় ফেডারেশন ৷ ক্ষোভ প্রকাশ রাজ চক্রবর্তী থেকে গিল্ডের সেক্রেটারি সুদেষ্ণা রায়ের ৷ টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োর পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানালেন অভিনেতা দেব-প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৷

TOLLYWOOD BAN RAHOOL MUKHERJEE
ফেডারেশন-গিল্ড দ্বন্দ্বে মুখ খুললেন দেব (সোশাল মিডিয়া)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Jul 27, 2024, 3:42 PM IST

হায়দরাবাদ, 27 জুলাই: রাহুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সঠিক কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছল না ফেডারেশন ৷ ফলে শনিবারও মিটল না পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব ৷ শুক্রবারই ডিরেক্টর্স গিল্ড রাহুলের উপর থেকে জারি করা তিন মাসের কর্মবিরতি তুলে নিলেও আপত্তি জানাল ফেডারেশন ৷ এই বিষয়ে সোচ্চার টলিউডের একাধিক পরিচালক থেকে অভিনেতারা ৷ অভিনেতা দেবও সোশাল মিডিয়ায় তুললেন বেশ কিছু প্রশ্ন ৷ পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও ৷ পরিচালক রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিনে পর্দার দুই 'কাছের মানুষ' ৷

পরিচালক রাহুলের পাশে দেব-প্রসেনজিৎ (ইটিভি ভারত)

এদিন দেব বলেন, "এই যে কাজ বন্ধ থাকল তার তো একটা ব্যাখ্যা হবে ৷ এর তো একটা খরচ রয়েছে ৷ তার জবাব দিতে হবে ফেডারেশনকে ৷ কাজ বন্ধ করে কোনওদিন কোনও উন্নতি হতে পারে না ৷" অভিনেতা প্রসেনজিৎ বলেন, "টেকনিশিয়ানদের কথা মাথায় রেখে শুটিং করা হয় ৷ টলিউডের খারাপ পরিস্থিতি আমি দেখেছি ৷ সমস্যা হতেই পারে কিন্তু কাজ বন্ধ করার কোনও যুক্তি নেই ৷"

এদিন দেবের এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিবাদের ভাষা কিছুটা এই রকম ৷ "বিষয়: বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু সংকট, কিছু তর্ক ও সমাধানের ইচ্ছে। প্রথম: শনিবার সকালে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে বাংলা ছবির, টেলিভিশনের পরিচালকরা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছে। বহুদিন ধরেই রাখছে, আজ ভঙ্গিটা আন্দোলনের। তার বেশকিছু কারণ রয়েছে। এই মুভমেন্ট-এর গোড়ায়, আগায়,সামনে, পিছনে, ডানদিক, বাঁদিক, কোথাও সিনিয়র, জুনিয়র-সহ সমস্ত রকমের টেকনিশিয়ান, সিনে শ্রমিকদের স্বার্থহানির এক ফোঁটা উদ্দেশ্য নেই। বিষয় সেটা নয়ই। বিষয় - পলিসির ৷"

দেব দ্বিতীয় পয়েন্টে বলেন, "বিষয়টা বনাম বা ভার্সেস-এর নয়। যে ভার্সেস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, রাজনৈতিক তরজার, পলিটিক্যাল রঙের, তার নয় ৷ বিষয়টা একই পরিবারের মধ্যে। পরিবারটা বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। তাই যে কোনও রাজনৈতিক বনাম অন্য যে কোনও 'বনাম'-এর বাইরে এই আলোচনা। কিন্তু বললেই তো আর হয় না। বনাম নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। "এরা বনাম ওরা", এই মর্মেই আলোচনা হয়, কারণ তাতেই লাভ হয় বেশি, মজাও হয় বেশি। তাতে বিপদ বাড়তে থাকে গোটা ইন্ডাস্ট্রির। অভিনেতার, পরিচালকের, ফোকাস পুলারের, ট্রলি সেটিং ভাইয়ের, ইলেকট্রিশিয়ানের, হেয়ার ড্রেসারের, মেক আপ আর্টিস্টের, সহকারী পরিচালকের, লাইটের কর্মীদের আরও মুখ কালো হতে থাকে।

এরপর অভিনেতা তৃতীয় পয়েন্টে বলেন, "পরিবারের কারও শরীর খারাপ হলে ডাক্তার টেস্ট করাতে বলে। পলিসি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সকলে বসে সেই টেস্ট গুলো করে নেওয়াই উচিত কাজ। যদি সত্যিই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে হয়, তাহলে সবার মতামত নিয়েই চলতে হয়। শুধু ভোট নয়, মতামত। সুইচ টিপে ভোট দেওয়া নয়, মতামত। কথায়, লেখায়, বলায়। পরিচালকের, ট্রলি যিনি ঠেলেন, লাইট যিনি লাগান তাঁরও মতামত নিতে হবে ৷ যদি তারজন্য নেতাজি ইন্ডোর লাগে, লাগুক। ময়দান লাগে, লাগুক। ব্রিগেড লাগে লাগুক। পয়সা খরচ করে সবার মতামত শোনা হোক। বোঝাই যাচ্ছে প্রস্তাবটা অ-বাস্তব দিকে চলে যাচ্ছে। কারণ এতদিনের যে নিয়ম তৈরির ব্যবস্থা তাতেও সমাধান হচ্ছে না।

শেষ পয়েন্টে দেব বলেন, "ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের জেরে গোটা ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে এক বড় আসন্ন বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা নানা রকম ঘটনা দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া যায় ৷ বাইরের বিজ্ঞাপন না আসা, বাইরের ছবির কাজ না আসা, পাশের দেশ, একই ভাষার কাজ এখানে না আসা, এসবেরই পথ সরু হতে হতে বন্ধ হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে বিনোদন শিল্প বলে আর কিছু থাকবে না। এটা রকেট সাইন্স নয়, কঠিন অঙ্ক নয়। একটু মাথা খাটালেই বোঝা যাবে।"

এরপরেই অভিনেতা অনুরোধ করে জানান, এটা বিনোদন শিল্প। এইভাবে চলতে থাকলে, 80 সালের পর আবার সেই দিন আসবে, যখন নতুন এসি স্টুডিয়ো গুলো গুদাম হয়ে যাওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না। আঞ্চলিক ভাষার বিনোদন ভালবাসা, ঐক্য,সম্মান, আলোচনা ছাড়া বাঁচতে পারে না। প্রয়োজনে সাময়িক সংঘাত হোক ৷ দিনের শেষে বিনোদন জগতকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়াই আসল উদ্দেশ্য হোক সকলের ৷ এটাই কামনা করেছেন অভিনেতা দেব ৷

হায়দরাবাদ, 27 জুলাই: রাহুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সঠিক কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছল না ফেডারেশন ৷ ফলে শনিবারও মিটল না পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব ৷ শুক্রবারই ডিরেক্টর্স গিল্ড রাহুলের উপর থেকে জারি করা তিন মাসের কর্মবিরতি তুলে নিলেও আপত্তি জানাল ফেডারেশন ৷ এই বিষয়ে সোচ্চার টলিউডের একাধিক পরিচালক থেকে অভিনেতারা ৷ অভিনেতা দেবও সোশাল মিডিয়ায় তুললেন বেশ কিছু প্রশ্ন ৷ পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও ৷ পরিচালক রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিনে পর্দার দুই 'কাছের মানুষ' ৷

পরিচালক রাহুলের পাশে দেব-প্রসেনজিৎ (ইটিভি ভারত)

এদিন দেব বলেন, "এই যে কাজ বন্ধ থাকল তার তো একটা ব্যাখ্যা হবে ৷ এর তো একটা খরচ রয়েছে ৷ তার জবাব দিতে হবে ফেডারেশনকে ৷ কাজ বন্ধ করে কোনওদিন কোনও উন্নতি হতে পারে না ৷" অভিনেতা প্রসেনজিৎ বলেন, "টেকনিশিয়ানদের কথা মাথায় রেখে শুটিং করা হয় ৷ টলিউডের খারাপ পরিস্থিতি আমি দেখেছি ৷ সমস্যা হতেই পারে কিন্তু কাজ বন্ধ করার কোনও যুক্তি নেই ৷"

এদিন দেবের এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিবাদের ভাষা কিছুটা এই রকম ৷ "বিষয়: বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু সংকট, কিছু তর্ক ও সমাধানের ইচ্ছে। প্রথম: শনিবার সকালে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে বাংলা ছবির, টেলিভিশনের পরিচালকরা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছে। বহুদিন ধরেই রাখছে, আজ ভঙ্গিটা আন্দোলনের। তার বেশকিছু কারণ রয়েছে। এই মুভমেন্ট-এর গোড়ায়, আগায়,সামনে, পিছনে, ডানদিক, বাঁদিক, কোথাও সিনিয়র, জুনিয়র-সহ সমস্ত রকমের টেকনিশিয়ান, সিনে শ্রমিকদের স্বার্থহানির এক ফোঁটা উদ্দেশ্য নেই। বিষয় সেটা নয়ই। বিষয় - পলিসির ৷"

দেব দ্বিতীয় পয়েন্টে বলেন, "বিষয়টা বনাম বা ভার্সেস-এর নয়। যে ভার্সেস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, রাজনৈতিক তরজার, পলিটিক্যাল রঙের, তার নয় ৷ বিষয়টা একই পরিবারের মধ্যে। পরিবারটা বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। তাই যে কোনও রাজনৈতিক বনাম অন্য যে কোনও 'বনাম'-এর বাইরে এই আলোচনা। কিন্তু বললেই তো আর হয় না। বনাম নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। "এরা বনাম ওরা", এই মর্মেই আলোচনা হয়, কারণ তাতেই লাভ হয় বেশি, মজাও হয় বেশি। তাতে বিপদ বাড়তে থাকে গোটা ইন্ডাস্ট্রির। অভিনেতার, পরিচালকের, ফোকাস পুলারের, ট্রলি সেটিং ভাইয়ের, ইলেকট্রিশিয়ানের, হেয়ার ড্রেসারের, মেক আপ আর্টিস্টের, সহকারী পরিচালকের, লাইটের কর্মীদের আরও মুখ কালো হতে থাকে।

এরপর অভিনেতা তৃতীয় পয়েন্টে বলেন, "পরিবারের কারও শরীর খারাপ হলে ডাক্তার টেস্ট করাতে বলে। পলিসি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সকলে বসে সেই টেস্ট গুলো করে নেওয়াই উচিত কাজ। যদি সত্যিই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে হয়, তাহলে সবার মতামত নিয়েই চলতে হয়। শুধু ভোট নয়, মতামত। সুইচ টিপে ভোট দেওয়া নয়, মতামত। কথায়, লেখায়, বলায়। পরিচালকের, ট্রলি যিনি ঠেলেন, লাইট যিনি লাগান তাঁরও মতামত নিতে হবে ৷ যদি তারজন্য নেতাজি ইন্ডোর লাগে, লাগুক। ময়দান লাগে, লাগুক। ব্রিগেড লাগে লাগুক। পয়সা খরচ করে সবার মতামত শোনা হোক। বোঝাই যাচ্ছে প্রস্তাবটা অ-বাস্তব দিকে চলে যাচ্ছে। কারণ এতদিনের যে নিয়ম তৈরির ব্যবস্থা তাতেও সমাধান হচ্ছে না।

শেষ পয়েন্টে দেব বলেন, "ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের জেরে গোটা ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে এক বড় আসন্ন বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা নানা রকম ঘটনা দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া যায় ৷ বাইরের বিজ্ঞাপন না আসা, বাইরের ছবির কাজ না আসা, পাশের দেশ, একই ভাষার কাজ এখানে না আসা, এসবেরই পথ সরু হতে হতে বন্ধ হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে বিনোদন শিল্প বলে আর কিছু থাকবে না। এটা রকেট সাইন্স নয়, কঠিন অঙ্ক নয়। একটু মাথা খাটালেই বোঝা যাবে।"

এরপরেই অভিনেতা অনুরোধ করে জানান, এটা বিনোদন শিল্প। এইভাবে চলতে থাকলে, 80 সালের পর আবার সেই দিন আসবে, যখন নতুন এসি স্টুডিয়ো গুলো গুদাম হয়ে যাওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না। আঞ্চলিক ভাষার বিনোদন ভালবাসা, ঐক্য,সম্মান, আলোচনা ছাড়া বাঁচতে পারে না। প্রয়োজনে সাময়িক সংঘাত হোক ৷ দিনের শেষে বিনোদন জগতকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়াই আসল উদ্দেশ্য হোক সকলের ৷ এটাই কামনা করেছেন অভিনেতা দেব ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.